প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে নীতি সহায়তা ও অর্থের যোগান অব্যাহত রাখবে সরকার। তবে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে অপচয় রোধ করতে হবে।
আজ সোমবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে ২য় সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্যশস্য ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ আমরা জানি, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। ফলে মানুষের অনেক কষ্ট হবে। কিন্তু সেটা যেন আমাদের দেশে না হয়, সে জন্যই সচেতন হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ২০৩০ সালের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে বাংলাদেশ।
আজ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এ সম্মেলন আয়োজন করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট।
প্রসঙ্গত, এসডিজি হচ্ছে বিশ্ব মানবতার সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত একটি কর্মপরিকল্পনা। এর মূল প্রতিশ্রুতি হলো, কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। এ প্রতিশ্রুতি পূরণে মূল ১৭টি অভীষ্ট ঠিক করা হয়েছে। অভীষ্টগুলো হচ্ছে- দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর, সুস্বাস্থ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন, সাশ্রয়ী জ্বালানি, টেকসই প্রবৃদ্ধি, শিল্প ও অবকাঠামো, অসমতা হ্রাস, টেকসই শহর ও জনপদ, পরিমিত ভোগ, জলবায়ু কার্যক্রম, জলজ জীবন, স্থলজ জীবন, শান্তি, ন্যায় বিচার ও টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব। এর অধীনে রয়েছে ১৭২টি লক্ষ্যমাত্রা, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা।