দেশের প্লাস্টিক পণ্য আর হালকা প্রকৌশল (লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং) খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে রপ্তানি বাণিজ্যে পণ্য দুটির ভূমিকা বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছেন বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, এই উপলক্ষ্যে বেজা ও হাইটেক পার্কের সঙ্গে কারিগরি কেন্দ্র নির্মাণে জমি বরাদ্দের চুক্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা পণ্যবহুমূখীকরণে বড় ধরনের কর্মযজ্ঞে অংশ নিলাম।
আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক্সপোর্ট কম্পেটেটিভনেস ফর জবস (ইসি ফর জে) এর সাথে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত ২টি লিজ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপত্বি করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।
বাণিজ্য মন্ত্রী আরো বলেন, রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইসি ফর জে প্রকল্প নিয়েছে। এর জন্য কারিগরি কেন্দ্র (টেকনোলজি সেন্টার) নির্মাণের বেজা এবং হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে পণ্য বহুমুখীকরণ ছাড়া বিকল্প নেই উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পোশাকখাত ছাড়া অধিকাংশ পণ্য বিলিয়ন ডলারের নিচে। সেই লক্ষ্য আমরা কাজ করছি। এছাড়া আমরা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের সরকারের প্রচেষ্টা তুলে ধরে সালমান এফ রহমান বলেন, রপ্তানি বাজার ও পণ্য বহুমুখীকরণে আমরা সবকিছুই করছি। কিন্তু হচ্ছে না। এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দরকার। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব; এই প্রকল্প বাস্তবায়ন দরকার। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আইটি খাতে অনেক অগ্রগিত হয়েছে। হাইটেক একটি বড় খাত। এটি পণ্য বহুমুখীকরণে অনেক সহায়ক হবে।
হাইটেক পার্কে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে ৫টি হাইটেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য তৈরি। এতে ৪৯৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। এখানে প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়া পণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সুবিধা আছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এক্সপোর্ট কম্পেটেটিভনেস ফর জবস প্রকল্পের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০ একর এবং বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, কালিয়াকৈর, গাজীপুরে প্রায় পাঁচ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের দুটি অত্যাধুনিক টেকনোলজি সেন্টার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, ইসি ফর জে এর প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম প্রমুখ।