মালদ্বীপের স্পিকার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ অভিযোগ করে বলেছেন যে আগের সরকার দেশের ১২টি দ্বীপ চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব একটি কোম্পানিকে উপহার দিয়েছে। তবে মালেতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং লিজহং স্পিকারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রোববার ক্ষমতাসীন এমডিপি’র নেতার কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে নাশিদ ওই অভিযোগ করেন। সম্প্রতি ভারতীয় সাংবাদিক সীমা গুপ্তের লেখা এক উপ-সম্পাদকীয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ওই চিঠি লিখেন। আরব নিউজ পাকিস্তান সংস্করণে ওই লেখা প্রকাশিত হয়। মালদ্বীপের বর্তমান প্রশাসনের তীব্র সমালোচক পাকিস্তান।
নাশিদ তার চিঠিতে বলেন, সাবেক সরকার মালদ্বীপের সার্বভৌত্বকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।
এতে বলা হয়: প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাছে বিক্রি করে দেন। তিনি আমাদের ১২টি দ্বীপ চীনা রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানকে উপহার দেন এবং আমাদেরকে দেনার দায়ে এতটাই ডুবিয়ে দিয়েছেন যে আমাদের পক্ষে সেই দেনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে মালদ্বীপের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে এবং ভারত মহাসাগরের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে।
কিন্তু নাশিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দিনের শেষ দিকে চীনা দূত লিজহং এক টুইটে বলেন, এ কথা একেবারেই সত্য নয়।
তিনি বলেন, ১২ দ্বীপের বিষয়টি একেবারেই অসত্য। তিনি নাশিদকে আসল ঘটনা যাচাই করতে বলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত আক্ষেপ করে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা মৌলিক তথ্য যাচাই করার সময় পাননি।
মালদ্বীপ ও চীনের মধ্যে সবরকম সহযোগিতা সমতা, সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও পারস্পরিক লাভের উপর প্রতিষ্ঠিত বলেও উল্লেখ করেন চীনা দূত।
তিনি আরো বলেন, চীনের কাছে বার্ষিক যে ১০০ মিলিয়ন ডলার দেনা হয়েছে তা থেকেও ৪০ মিলিয়ন ডলার মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দূত বলেন, চীন কোভিড মোকাবেলা, পর্যটন ও বড় প্রকল্পগুলো নিয়েও মালদ্বীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
Source সান এমভি