একজন রাজনৈতিক নেতার স্বপ্ন কি? এমন প্রশ্নে খুলনা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, ” আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের সকলেরই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে এবং নিজেকে রাজনৈতিক ভাবে সর্বোচ্চ আসনে আসীন করার স্বপ্ন থাকে।
এই স্বপ্ন থাকাটা অমূলক নয় কারন মানুষ তার স্বপ্নের থেকেও বড়, মহৎ।
আমিও একজন রাজনৈতিক কর্মী। রাজনীতির হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা বাঙ্গালি জাতির বংশীবাদক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ব্যক্তিত্ব তার সততা দেশপ্রেম নৈতিক গুণাবলি এসবে আকৃষ্ট হয়ে সব প্রেম কে পেছনে ফেলে এই রাজনীতি নামক শিল্পের সাথেই শৈশব কৈশোর যৌবনের সবটুকু সময় মন প্রাণ উজাড় করে প্রেম করেছি।
মুটামুটি বুঝার পর থেকেই জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা শান্তি, প্রগতির কথা বলতে বলতে আজ এই পর্যন্ত।
সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একটি মুহুর্তের জন্যও রাজনীতিকে ফাঁকি দেয়নি, আদর্শের সাথে বেইমানি করিনি, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ নিজের জ্ঞাতস্বরে করিনি। আমার জন্য আমার রাজনৈতিক সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সুনাম অর্জনে ব্যর্থ হয় আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি এমন কোন কাজ ও করিনি।
রাজনীতির এই দীর্ঘ চলার পথে আমার ও ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। আমাকে অনেকেই অপছন্দ করতে পারেন আবার আমাকে ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা ও কম নয় আমি তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
মানুষের ভালোবাসার অন্তঃনিহির্ত একটা শক্তি আছে। এই ভালোবাসা কাজ করার জন্য অসাধারণ ভাবে অনুপ্রেরণা যোগায়, নিজের মধ্যে একটা চমৎকার তৃপ্তি আসে। কিন্তু সেই ভালোবাসার ও একটা সুগন্ধি থাকা উচিত যা মানুষ কে বিমোহিত করতে পারে।এমন ভালোবাসা উচিত নয় যা অন্যকেও আঘাত করে, কষ্ট দেয়।
আপনারা যারা আমাকে ভালোবাসেন তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ, আমি চিরঋণী। কিন্তু আমাকে ভালোবাসতে গিয়ে অন্য কাউকে ছোট করবেন না,কটাক্ষ করবেন না।অন্যকে সম্মান করে ও ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা যায়।
রাজনীতি করি সুতরাং একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে দেশের যে কোন দূর্যোগের সময়ে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল ভিত্তি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন রাষ্টনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা কালিন সময়ে সবাই কে আহবান জানিয়েছিলেন যে যার অবস্থান থেকে যেন মানুষের পাশে সহানুভূতির পরশ দিয়ে পাশে থাকি। একটা সংগঠনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমার নিজ জন্মভূমির মানুষের জন্য যতটুকু পেরেছি সাধ্যমতন থাকার চেষ্টা করেছি। অসহায় মানুষের চোখ ছলছল দৃশ্য দেখেছি, দেখেছি কত মানুষ কাজ কর্ম হারিয়ে মুখ মলিন করে বিধাতার কৃপার জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে এমন সব দৃশ্য আমাকেও নাড়া দিয়েছে আমি তাদের পাশে ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়িয়েছি।
এই দূর্যোগের সময়ে আমি কল্পনা ও করিনি এই সবের বিনিময়ে আমার এমপি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে, আমার ভোটের রাজনীতি চাঙ্গা হবে। একজন মানুষ হিসাবে কখনোই মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নিজেকে জনপ্রতিনিধি করার কুট কৌশলের রাজনীতি আমি করিও না এবং এই আদর্শের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাসী ও না।
আমার দায়িত্ব কাজ করা। আমার দায়িত্ব সংগঠন কে সুসংহত করা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশ নির্দেশ পালন করা। সময়ের প্রয়োজনে মানুষের যে কোন বিপদে তাদের পাশে থাকা। এখানে অন্য কোন অভিলাষ নেই।
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আমার ও স্বপ্ন আছে থাকবে এটাও স্বাভাবিক তবে আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই, মানুষের জন্য যতটুকু পারি কাজ করে যেতে চাই আমার ভালো মন্দ নির্ণয় করবেন আমাকে কোথায় কি দায়িত্ব পালন করাবেন এটা আমার রাজনৈতিক অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের বিষয়।তারা যে ভাবে আমাকে কাজ করাবেন যেখানে যখন যে দায়িত্ব পালন করাবেন সেই দায়িত্ব পবিত্র আমানত হিসাবে পালন করবো ইনশাআল্লাহ।
সুতরাং সকলের কাছে বিনয়ী অনুরোধ কেউ অতিরঞ্জিত হয়ে, আমাকে বেশি ভালোবাসতে গিয়ে এমন কিছু প্রচার করবেন না যাতে অন্য কোন মানুষ কষ্ট পান,অসম্মানিত হন।অমক আসনের এমপি হিসেবে চাই এসব বলে লিখে আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না।আমাকে ভালোবাসলে মানুষের জন্য কাজ করেন, তাদের বিপদে পাশে থাকেন তাহলেই আমি খুশি হব।
মানুষের ভালোবাসার চেয়ে দামী কোন পদ পদবিতে নাই। সুতরাং মানুষের ভালোবাসাই আমার রাজনীতির মূল উপজীব্য, অনুপ্রেরণা, আশীর্বাদ। “