বাগেরহাট চাঞ্চল্যকর ডায়াগনস্টিক এর নারী কর্মী ও কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তার (২২) হত্যা মমলার এক মাত্র আসামী সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকার রনজিতপুর গ্রামে অরবিন্দু দাসের কুখ্যাত লম্পট পুত্র প্রদীপ(৪২) কে ঘটনার প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘাতক লম্পট প্রদীপ কে পুলিশ আটক না করতে পারায় ও মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার পাবার জন্য কখন ও রামপাল থানা পুলিশ আবার কখন ও জেলা পুলিশ কার্যালয়ে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছেন সন্তানহারা দরিদ্র এই মা (নিহত তানিয়ার মাতা) তহমিনা বেগম।
অপর দিকে কুখ্যাত লম্পট প্রদীপ কে পুলিশ আটক করতে না পারায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে চুলকাঠি ও মেয়ের বাবার বাড়ী রামপাল এলাকার সচেতন মহল, তানিয়ার সহকর্মী, সহপাঠি ও আত্বীয়স্বজনদের মনে।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ১৪ ই জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টার সময় রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারের সুন্দরবন ডায়গনস্টিক সেন্টারের রিসিপশনিষ্ট তানিয়া (২২) নিখোঁজ হয় । তারপর অনেক খোজা খুজির পর ও তানিয়া আক্তারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ বছর ১৫ ই জানুয়ারী প্রদীপ দাস একটি মোবাইল ফোন থেকে নিহতের বাবা ইউছুব আলীকে ফোন করে বলেন তোর মেয়েকে রূপসা সেতুর উপর ফেলে রেখেছি। সেই খবরের ভিত্তিতে নিহতের পরিবার অচেতন অবস্থায় তানিয়াকে উদ্ধার করে খুলনার ১টি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ১৬ জানুয়ারী উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেকে ভর্তি করেন এবং ঐ দিনই ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা রামপাল উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের ইছুব আলী বাদী হয়ে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রদীপ দাশের বিরুদ্ধে ১টি মামলা দায়ের করেন,যার নং-০৭।
তারপর খুমেক হাসপাতালে আইসিইউ-তে ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২২ জানুয়ারী বুধবার সন্ধা ৭ টার সময় মৃত্যুর কাছে হার মেনে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তানিয়া নিহত হবার পর পুলিশ ঐ মামলা টি কে হত্যা মামলায় রূপান্তর করে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঘাতক প্রদীপ দাশ, চুলকাঠি এলাকার একজন চিহিৃত লম্পট ও প্রতারক। সে বিভিন্ন সময়ে নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার, এনজিও কর্মী সহ নানা পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করেই চলছিল। এমনকি একাধিক নারীকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে তাদের নারীত্ব লুটে নেওয়ারও গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে।
নিহতের পিতা ইউসুফ আলী সাংবাদকর্মিদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, লম্পট প্রদীপ দুবছর আগে ফয়লা বাজার থেকে তার কন্যা তানিয়াকে অপহরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে অচেতন করার ওষুধ প্রয়োগ করে তাকে যৌন নির্যাতন করেই চলছিল। এই যৌন নির্যাতন করার ফলে তানিয়ার গর্ভে ১টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যে কন্যা সন্তানটি বর্তমানে প্রতারক প্রদীপ এর পিতা অরবিন্দু দাশ ও মাতা শান্তি রানী দাশের কাছে রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামপাল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার বলেন প্রদীপ দাস কে আটকের জোর চেষ্টা চালাচ্ছি আর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রির্পোট হাতে পেলে আদালতে চার্জর্সীট দাখিল করা হবে।