আপনারাও চেয়ারম্যান হলেন.. আর আমরা হলাম মানুষ..!
বলছি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৩ নং ঘিলাছড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কথা।বাতির নীচে অন্ধকারের মিটমিট আলো হয়ে জ্বলা এ ওয়ার্ডের উন্নয়নের কুপি আজও নিভু নিভু প্রদীপ শিখা হয়ে জ্বলছে। ভাগ্যবান এ ওয়ার্ডবাসী স্বাধীনতার পর চারবার ইউনিয়নের প্রধান চেয়ার দখলে রেখেছেন বলেই বাতির নীচ আজও আলোহীন। উন্নয়ন দৃশ্যমান হয় তখনই যখন ঐ এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন চোখে পড়ে।
এ ওয়ার্ডের ভাঙ্গা, আধা ভাঙা, কাদামাখা, খানাখন্দভরা রাস্তাগুলো আমাদের ব্যার্থ চেয়ারম্যান দের রেখে যাওয়া কালের সাক্ষী। স্মরন করছি সিদ্দেক আলী,মরহুম জমির আলী,আশরাফ বাবুল চেয়ারম্যান বৃন্দের কথা, উনারা সাবেক চেয়ারম্যান হয়ে আমাদের ধন্য করেছিলেন বলে রাস্তা খুঁড়লে দু-তিন টুকরো ইট খুজে পাই।
বর্তমান সরকারের সময়ে সরকার সমর্থিত চেয়ারম্যান পেয়ে জনগণের পোয়াবারো অবস্থা, খুশিতে অনেকে বললেন এবার আর চর্বিত চর্বন( পুনরাবৃত্তি) হবে না। কিন্তু এ যেনো পর্বতের মুসিক প্রসব। শহীদ খায়রুল সড়কের শেষ আধা কিলোমিটার রাস্তা যেনো আদমের কাল থেকে আজকের কাল পর্যন্ত এক টুকরো ইট,পাথরের প্রসব ঘটেনি, সামান্য বৃষ্টিতে ওঝাড় ঘাড়ে ভূত নেমে আসে।
চৌধুরী সাহেবের বাড়ীর পেছনে রাস্তাটির জন্ম বলে অবরে- সবরে ও যাওয়ার প্রয়োজন হয়তো পড়েনা। লোকে বলে মানুষ বড় হলে আর পেছন ফিরে থাকায় না। আমরা সেটা মনে করিনা,আমাদের কথা ঠিকই মনের গহীনে আছে হয়তঃ বরাদ্দ আর হবে নামের গল্পের সাথেই আমাদের রোজকার বসবাস। সো দয়া করে এ কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভেঙে এবার একটু বারেক ফিরে থাকান। এ পথ আর পথের ধারে বাস করা মানুষ গুলো আপনারই স্বজন,আপনার সবচেয়ে আপনজন।চৌধুরী সাহেবের কাছে প্রত্যাশার মাত্রাও দিগুণ। তারা আপনার কাছে চাইবেনা, তবে ফের যদি আপনি তাদের কাছে যান তবে মুখ রক্ষার তাবিজ,কবজ সঙ্গে নিয়ে যাবেন। অগত্যা মধুসূদন হয়ে আজ কলম ধরতে বাধ্য হলাম প্রশাসনের নজরে আসিলে দয়াপরবশ ঘুরে দেখে যাবেন….”এত আলোর নীচে কেমনে এত আঁধার “