সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গাঁজা উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের উপর মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন- বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাস, নায়েক মন্টু দে, কনস্টেবল মো. আজাদ মিয়া ও মোটরসাইকেল চালক সেলিম মিয়া।
গুরুত্বর আহত মোটরসাইকেল চালক সেলিম মিয়াকে সোমবার রাতেই প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মো. মাহমুদুল হাসান ও এএসআই রাজু কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের রাজাই গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস মিয়ার বাড়িতে গাঁজা বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানের একপর্যায়ে জুলহাস ও তার সঙ্গীয় ১৫/২০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতিকুর রহমান, এসআই দীপঙ্কর বিশ্বাস, মনতোষ পাল, এএসআই বেলাল হোসেন, মীর হোসেনসহ পুলিশের অপর একটি টিম মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস মিয়ার বাড়িতে অভিযানে যায়। এসময় ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুলহাস ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ জুলহাসের বসত ঘর থেকে সাদা প্লাাস্টিকের ব্যাগের ভিতরে রাখা ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। গাঁজা উদ্ধারের পর জুলহাসসহ তার সঙ্গীয়দের গ্রেফতার করতে রাতেই পুলিশ অভিযানে নামে। সারারাত অভিযান চালিয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার সীমান্তবর্তী চাঁনপুর ও বৃন্দারবন গ্রাম থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হল- উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামের জম্মত আলীর ছেলে আলী আমজাদ (২২) ও একই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে এখলাস মিয়া (৫৫)।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এসআই মাহমুদুল হাসান এবং এ এসআই রাজু কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দমন আইনে ও একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
তিনি বলেন, এঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।