এমরান আহমেদ ফেঞ্চুগঞ্জ সিলেটঃঃ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বাড়িতে গিয়ে ও ফোনের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধের চাপ প্রয়োগ করছে এনজিও সংস্থার কয়েকটি ব্যাংক তার মধ্যে আশা, ব্রাক ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, টিএম এস এস ব্যাংক সহ আরও কয়েকটি এনজিও শাখার ফিল্ট অফিসার।
দীর্ঘদিন লক ডাউনে থাকায় দেশের মানুষ সম্পুর্ন বেকার ও আর্থিকভাবে চরম দুর্দশায় ভোগছে।এসব সাধারন মানুষের কথা মাথায় রেখে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জুন মাস পর্যন্ত সকল সরকারী- বেসরকারী,ও এনজিও সংস্থা গুলোর কিস্তি বন্ধ করার আদেশ দেন।
কিন্তু বর্তমানে লক ডাউন সীমিত পরিসরে সকল অফিস আদালত খুলে দেওয়া হলে ও কিস্তি পরিশোধ করার কোন আদেশ দেন নি।সরকারী আদেশের তোয়াক্কা না করে এসব এনজিও সংস্থার শাখা থেকে ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া, মাইজগাঁও, পালবাড়ি, বিয়ালীবাজার, নয়াবাজার সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকার গ্রাহকদের কে কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন এসব এনজিও সংস্থার কর্মীরা।
সরেজমিন প্রতিবেদন কালে ভুক্তভোগীরা জানান দীর্ঘদিন যাবত ধরে লক ডাউনে থাকায় কোন ব্যবসা- বাণিজ্য, চাকুরী কোন কিছুই নাই। সরকারের আদেশে গৃহবন্দি ছিলাম।দু’বেলা আহার যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি।সরকারী সাহায্যে সহায়তা পাওয়ায় কোনরকম ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে আছি।এমতাবস্থায় কিস্তি ওয়ালাদের কিস্তি পরিশোধ করার তাগিদ যেন মরার উপর খড়ার গা এর মতো।
উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের দিনমজুর মনু মিয়া বলেন, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন কাজ করে সংসার খরচ ও সপ্তাহে ৬৫০ টাকা এনজিও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেছি। প্রায় দুই মাস করোনাভাইরাসের কারণে এনজিওর কিস্তি বন্ধ ছিল। কিন্তু গত রোববার থেকে এনজিও সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংক কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছেন তারা। ৩১ মে থেকে অফিস খুললেও যা রোজগার হচ্ছে তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
মাইজগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা শিলু মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এলাকার মানুষ মালপত্র হাট-বাজারে আনা নেওয়া করছেন কম। এ কারণে আমাদের আয়-রোজগার একেবারে কমে গেছে। এর মধ্যে গত সোমবার থেকে এনজিও ঋণের কিস্তির জন্য এনজিও কর্মীরা বাড়িতে এসে চাপ দিচ্ছেন। একই অভিযোগ করেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের সময়ও দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গে এনজিও কর্মীরা ঋণের কিস্তির জন্য দোকানে এসে চাপ দিচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনজিওর কর্মী বলেন, অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যানেজাররা কিস্তির টাকা নেওয়ার জন্য বলছেন। এ কারণে আমরা কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য এনজিওর সদস্যদের চাপ দিতে বাধ্য হচ্ছি।
এবিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুন মাস পর্যন্ত সকল সরকারী- বেসরকারী,ও এনজিও সংস্থা গুলোর কিস্তি বন্ধ করার আদেশ দিয়েছেন কিন্তু এই আদেশ যে সংস্থা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে ।