কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃঃ আপোষহীন এক কলম সৈনিক কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো.মোস্তাফিজুর রহমান।
তার সাংবাদিকতা শুরু কমলগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিনের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ধলাই পত্রিকার মাধ্যমে। তিনি হঠাৎ করে সাংবাদিকতা পেশায় আসেননি। মোস্তাফিজুর রহমানের আজকের পিছনে অবদান রয়েছে তৎকালীন দৈনিক যুগভেরী স্টাফ রিপোর্টার ও সাপ্তাহিক ধলাই পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজার। এছাড়া দৈনিক পত্রিকায় কাজ করার পেছনে সহযোগীতা করেছেন প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজিত রায়।
চলার পথে সাজিদুর রহমান সাজু, অলক দেব, মুজিবুর রহমান রনজু, প্রনীত রঞ্জন দেবনাথসহ অনেক সাংবাদিকের আন্তরিক সহযোগীতা পেয়েছেন । কলেজে পড়া অবস্থায় সাংবাদিকতায় মনোযোগ দেন। কমলগঞ্জের প্রতিষ্টিত সাংবাদিকদের ছায়ায় নিজেকে তৈরী করেন। মোস্তাফিজুর রহমান কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাথে জড়িত থাকলেও ২০০৬ সালে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে পদ পান। সেই থেকে কমলগঞ্জের সকল সাংবাদিকের সাথে তার রয়েছে মধুর সম্পর্ক। ২০১০ সালে প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ছিলেন। ২০১৪ সালে অর্থ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালে ছিলেন যুগ্ন আহবায়ক। অনেকেই এ পেশায় আসার পর অতীতকে ভুলে যান কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিনি ঠিক তার ব্যতিক্রম : তিনি এখনো অকুণ্ঠচিত্তে স্বীকার করেন তার শিক্ষা গুরুদের কথা।
১৯৯৮ সাল থেকে মফঃস্বল সাংবাদিকতার কঠিন বাস্তবতাকে সঙ্গী করে দীর্ঘ দেড় যুগের অধিক সময় ধরে তার এই পথচলায় একজন আপোষহীন ও সাহসী সংবাদ কর্মী হিসাবে সর্বমহলে প্রশংশিত হয়েছেন । বিভিন্ন সভা সেমিনার থেকে শুরু করে এই পেশা সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকান্ডে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন । কখনো অপঃ সাংবাদিকতার কোন প্রভাব পড়েনি তার দেড় যুগের এই চলার পথে।
পেশার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সততা কমলগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ধলাই পত্রিকা থেকে তাকে টেনে নিয়ে গেছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় অতঃপর দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায়। এছাড়াও তিনি জুয়েল আহমেদ প্রকাশনায় সাপ্তাহিক কমলগঞ্জের কাগজ পত্রিকায় ২০১১ সাল হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রধান সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকায় কাজ করার পরও তার মধ্যে নেই কোন অহমিকা । সাদামনের এই মানুষটির কারণেই আজ কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব হয়ে উঠেছে নবীন ও প্রবীন সাংবাদিকদের এক মিলনস্থল হিসাবে। দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রেসক্লাবের ইফতার পাটি,,বনভোজনসহ নানা কর্মকান্ড করে চলেছে। প্রেসক্লাবকে পুজিঁ করে কোথাও কোন ধরনের অনৈতিক কাজ করেছেন এমন অভিযোগ শুনা যায়নি। তিনি সিনিয়রদের সাথে ভাল ব্যবহার ও জুনিয়রদের সাথে মধুর সম্পর্ক রেখে চলেছেন। সদা হাস্যোজ্জল এই মানুষটি চিন্তা ও চেতনায় লালন করেন গনমানুষের কল্যাণের বিষয়টি। গঠনমুলক চিন্তা ও সততাকে পুঁজি করে তিনি বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দৈনিক মাতৃভূমি এবং দৈনিক খবর, দৈনিক যুগান্তর, কুলাউড়া উপজেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রহর এবং সিলেটের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সিলেটের কথা পত্রিকায় কাজ করেছেন। কমলগঞ্জে বিভিন্ন মহলে নিজের ক্লিন ইমেজ গড়ে তুলেছেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি রাজনীতিতে জড়িত রয়েছেন।
তবে সাংবাদিকতা তার কাছে পেশা নয়, নেশা। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্যবসার সাথে জড়িত। মো.মোস্তাফিজুর রহমান কমলগঞ্জ উপজেলার বড়গাছ পৌর এলাকার বাসিন্দা । সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি পেশায় একজন শিক্ষকও । ১৯৮৩ সালের ৫ জানুয়ারি কমলগঞ্জ উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম । তার বাবার নাম এখলাছুর রহমান ছিলেন কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বেচে থাকাকালীন সময়ে কমলগঞ্জ হাই স্কুল, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষানুরাগী হিসাবে কাজ করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমানের বড়ভাই ফজলুর রহমান ছিলেন ৮০ দশকের একজন তুখোড় সাংবাদিক।
মরহুম পিতার আদর্শ ও বড় ভাইয়ের চলার নীতিকে পুঁজি করে তিনি আজো হাঁটছেন সাংবাদিকতা নামক কঠিন পথে। আর এজন্য তাকে অনেক চড়াই উৎড়াই পাড়ি দিতে হয়েছে।
সৎ ও আদর্শবান এই ব্যক্তির অভাবণীয় সাফল্যে একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্নিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার নিঃসন্দেহে একটি নিন্দনীয় ঘটনা । এঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুজেঁ বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন কমলগঞ্জের সাংবাদিক মহল।