গতকাল (২২ মে ) শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এবং নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী জনাব এ কে এম এনামুল হক শামীম,এমপি।
পরিদর্শনকালে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সকল বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটির মধ্যেও এসব কাজ অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া সারাদেশে আমাদের প্রায় ১৭ হাজার কি.মি. বাঁধ রয়েছে যার ৫ হাজার ৫৫৭ কি.মি. উপকূলীয় এলাকায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিদ্যমান সকল বাঁধকে আরো যুগোপযোগী ও উঁচু করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জনাব ডা. এনামুর রহমান, মন্ত্রীপরিষদ সচিব জনাব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মোহসীন , ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পের পরিচালকসহ ক্ষতিগ্রস্ত উল্লেখিত এলাকা হেলিকপ্টারযোগে একত্রে পরিদর্শন করেন।
আগাম প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ পূর্বাভাসের সাথে সাথে সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিলসহ সর্বোচ্চ প্রস্তুতির জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। মাঠে নির্বাহী প্রকৌশলীরা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করেছেন। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের কাজ মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া সাতক্ষীরার শ্যামনগরসহ উপকূলাঞ্চলের জন্য ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প রয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলে ৩৯ পয়েন্টে প্রায় ৬.৫ কি.মি. বাঁধ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে এবং ৭টি পয়েন্টে নদীতীর ভাঙ্গন হয়ে থাকে।