বকেয়া মজুরির দাবিতে খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বিআইডিসি রোড অবরোধ করে সড়কের উপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে।
সরকারি সাধারণ ছুটি (করোনা ভাইরাসের কারনে)’র আগে ৫ সপ্তাহ, করোনা ভাইরাসের কারনে মিল বন্ধ থাকায় ৬ সপ্তাহ এবং চলতি ২ সপ্তাহসহ মোট ১৩ সপ্তহর মজুরী বকেয়া রয়েছে খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিজেএমসি নিয়স্ত্রনাধীন ৫ টি জুট মিলে। গত রবিবার খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিলের শ্রমিক নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার ও মঙ্গলবার মানবন্ধন এবং কর্মবিরতির দুইদিনের আন্দোলন কর্মসুচির ঘোষনা করে।
গতকাল শ্রমিকদের মানববন্ধন শুরু হওয়ার সময় খালিশপুর জুট মিলের কর্মকর্তরা বকেয়া মজুরী প্রদানের আশ্বাস দেন, যার কারনে শ্রমিক নেতারা রাতের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরী প্রদানের দাবি জানিয়ে মানবন্ধন কর্মসুচি সাময়ীক স্থগীত করে। শ্রমিকরাও আজে যোগদান করেন।
পাশ্ববর্তি প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট জুট মিলে ৫ সপ্তাহর মজুরী এবং দৌলতপুর জুট মিলে ১ সপ্তাহর পাওনা মজুরী প্রদান করা হয়। এ সংবাদ খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা মিলের সকল বিভাগের কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা বিআইডিসি রোড, রেললাইনের উপর টায়াওে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শ্রমিকরা পিপলস গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং চারদিকের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ সময় খালিশপুর থানার টহল পুলিশের গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে খালিশপুর জুট মিলের সিবিএর সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ ইব্রাহিম জানান, মিল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা মানববন্ধন কর্মসুচি স্থগীত করেছেন। পাশ্ববর্তি মিলে মজুরী প্রদান করায় হঠাৎ করে খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে সড়কে নেমে এসেছে। তিনি জানান, শ্রমিকদের বুঝিয়ে উৎপাদন চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।
পরে শ্রমিক নেতারা তাদের এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নে জরুরী বৈঠকে বসেছেন।
এ বিষয়ে খালিশপুর জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মোঃ খলিলুর রহমান জানান, মিলের শ্রমিকদের উৎসব বোনাসের অর্থ বিজেএমসি থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। আজ থেকে তাদের বোনাস প্রদান করা শুরু হবে। বকেয়া মজুরীর বিষয়ে বিজেএমসির চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা চলছে, মজুরী পর্যাক্রমে দেয়া হবে বলে বিজেএমসির চেয়ারম্যান তাকে জানিয়েছেন। তবে আন্দোলন করলে বিজেএমসি থেকে কোন অর্থ প্রদান করা হবে না বলে তিনি জানান।