খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে একদিনে চিকিৎসকসহ সর্বোচ্চ ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন খুলনার, দু’জন বাগেরহাটের, একজন নড়াইল ও একজন সাতক্ষীরার বাসিন্দা। খুমেকের ল্যাবে এ পর্যন্ত মোট ৪২ জনের করোনা সনাক্ত হলো। জেলায় এ সংখ্যা ২০। এদিকে খুলনায় করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল শনিবার আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি পিসিআর মেশিনে মোট ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এর মধ্যে খুলনার ছিলো ৪০টি। নতুন আক্রান্ত ৫ পর্যন্ত খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৪২ জনের করোনা সনাক্ত হলো। এর মধ্যে খুলনার জেলার ২০ জন আক্রান্ত। যার মধ্যে ১২ জনই সুস্থ হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩ জন, বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ জন।
এদিকে খুলনায় করোনা উপসর্গ নিয়ে (৭০) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বটিয়াঘাটা উপজেলার সবুজবাগ গ্রামের বাসিন্দা। তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, শনিবার সকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ জ্বর ও হার্টের সমস্যা ছিল। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।