ব্যুরো অফিস সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্ধা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সক্রিয় কর্মী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কটুক্তিকারী ও নাশকতার প্রধান হুতা দুই যুবক জুনাক আহমেদ ও মহিবুর রহমান মানিক কে রহস্য জনক কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী সুনামগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ষোল কোটি মানুষের আশার শেষ আশ্রয়স্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগকে নিয়ে জুনাক ও মহিবুর রহমান মানিকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডিতে কটুক্তি করার পর বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচর হলে আমি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় তাদের উপরে মামলা দায়ের করি। দুঃখজনক হলেও সত্য আজ মামলার প্রায় মাস খানেক পেরিয়ে গেলেও জানিনা কেন? তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ। আমি এ বিষয়টি নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও দলীয় সিনিয়র নেতাদেরকে বার বার বলার পর ও তিনারা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করলে ও আমাদের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় কিছু সংখ্য নেতা ও একজন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধির সামান্য কথায় এই দুঃস্কৃতিকারী ও কুচক্রী মহলের সদস্য বিএনপি সক্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার কটুক্তিকারীদের কে গ্রেফতার করতে রাজী নয় থানা পুলিশ।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, জুনাক আহমেদ মহিবুর রহমান মানিক ফেইসবুকে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আজবি গুজবী পোষ্ট দিয়ে আসতেছেন, অভিযুক্তরা স্বাধীনতা বিরুদ্ধী কর্ম কান্ড করে দিনের পর দিন দেশ ও দেশের সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিএনপির সাইবার,ও বাশের কেল্লার এডমিন হিসেবে কাজ করে আসছেন। তাদের খেয়ে দেয়ে কোন কাজ কর্ম নেই, দেশের বিরুদ্ধে ও সরকারের বিরুদ্ধে লেখা-লেখি নিয়ে মগ্ন থাকেন জুনাক আহমেদ ও মহিবুর রহমান মানিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, জুনাক ও মহিবুর রহমান মানিকের আমাদের উপজেলা আওয়ামীলীগের কিছু নেতাদের সাথে গোপনীয় সস্পর্ক রয়েছে। আমাদের নেতারা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিজের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেন,। নিজের বল প্রয়োগের মাত্রা হ্রাস পাবে বলে এই দুই কটুক্তি কারীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে রাজী নয় কেহ…। আর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ একটি মফস্বল এলাকা থাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা অনেক সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ইউনিয়ন নির্বাচন সহ বিভিন্ন নির্বাচনে তাদের প্রত্যেকের কিঞ্চিৎ ভোটের প্রভাব পরবে বলে ও এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলেতে রাজী নয়। আরেক ছাত্রলীগ নেতা জানান, এখন কেই বা প্রকৃত আওয়ামীলীগ আর কে-ই বা জাতির জনকের ইতিহাস ও গুণাগুণ জানেন, প্রায়ই তো আমাদের দক্ষিণ সুনামগঞ্জের নব্য আওয়ামীলীগার। জাতির জনকের ওজন ওরা কতটুকু বুঝবেন, ওরা নিজের ফায়দা হাসিলের জন্য আওয়ামীলীগের নির্দেশ বসন্তের কুকিলের ন্যায় নাম কা- ওয়াস্থে পালন করে আসছেন, ওদের ভিতরে টিকিই লালন করেন জামায়াত বিএনপি। ইদানীং দেখতে পাচ্ছি আমাদের সুনামগঞ্জের এক এমপি কে নাম মাত্র কটুক্তির ফলে সাংবাদিক জেল হাজতে,। আর জাতির জনকের কটুক্তি কারীরা আজ আমাদের আওয়ামীলীগের বন্ধু। এটা আমাদের দলের জন্য নিশ্চয়ই অশনি সংকেত। এখন ও সময় আছে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার।
এবিষয়ে শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি মঈন উদ্দিন জুনাক ও মহিবুর রহমান মানিকের উপর মামলা করেছে। কিন্তু কি বিষয় নিয়ে মঈন মামলা দায়ের করলো তা আমি সুস্পষ্ট ভাবে বলতে পারবো না।
এব্যাপার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার এস অাই মামলার তদন্ত কারী অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি করোনার পরে ভালো করে দেখবো।