তাহিরপুর প্রতিনিধি ::সুনামগঞ্জ তাহিরপুর করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে শেষ পর্যন্ত আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। আর এ তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বাদাঘাট(উ.) ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম সামছুল হক সিকদার। জনাযায়, তাহিরপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাসের কারণে অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া ৫০৫৮ জন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর নগদ আর্থিক সহায়তা ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এর মধ্যে উপজেলার বাদাঘাট(উ.) ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াড়ের মোট ৭৮ জনের তালিকা তৈরি করণের কাজে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক সুবিধাভোগীর নামের পাশে তার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারসহ নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করার কথা থাকলেও উক্ত ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের ৭৮জনের সরকারি সহায়তা সুবিধাভোগীর মধ্যে ২১ জনের নামের বিপরীতে ০১৭৪২১৯৫২৩৪, ১৬জনের নামের বিপরীতে ০১৭৫৫৯৩৬৭০১ এবং ১২ জনের নামের বিপরীতে ০১৭৩৭০৯১১৪৬ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে। নগদ সহায়তা তালিকা তৈরি করণের কাজে ইউপি সদস্যের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় সচেতন মহলে জন্ম দিয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনার! এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যে বলেন, নামের তালিকা দ্রুত জমা দিতে গিয়ে একই নাম্বার একাধিক নামে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশোধন করা হচ্ছে। বাদাঘাট ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা কত
জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আহমদ কোন তথ্য দিতে পারেননি এবং দ্রুত মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। তালিকায় অসঙ্গতির বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তা তালিকা তৈরি করণের কাজে একই নাম্বার ব্যবহার করার খবর পেয়েছি, ক্রমান্বয়ে সংশোধনও করা হচ্ছে এবং যাচাই বাছাই করে আরো কোন অসঙ্গতি বা অনিয়ম পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।