বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল আহাদঃ ওসমানীনগরে গরুর ধান খাওয়ার জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শিপন মিয়া (২৪) নিহত হয়েছেন। নিহত শিপন আহমদ ঈশাগ্রাই গ্রামের আশিক মিয়া ছেলে। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন।
বুধবার ইফতারের কিছু সময় পূর্বে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষে আহত আহতরা হলেন- ঈশাগ্রাই গ্রামের আশিক আলী, আশিক আলীর ছেলে, রিপন আহমদ, আব্দুল হক, আব্দুস সালাম, আনহার মিয়া, নজির মিয়া ও নজির মিয়ার এক শিশুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭ জন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশিক মিয়া ও আব্দুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঈশাগ্রাই জয়নুল হক ধন মিয়ার সাথে একই গ্রামের নিহত শিপনের পিতা আশিক আলীর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কিছু দিন পূর্বে ধন মেম্বার আশির মিয়া বাড়ির চলাচলের রাস্তার সামনের ভূমি নিজের দাবী করে দেয়াল নির্মাণ করেন। এতে আশিক আলীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া গ্রামের জামে মসজিদ নিয়েও আশিক আলী গংদের সাথে ধন মেম্বারের পক্ষের লোকজনদের বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার (৬ মে) বিকেলে ধন মেম্বারের পক্ষের এলাইচ মিয়ার সাথে আশিক মিয়ার পক্ষের ছোরাব মিয়ার মধ্যে গরুর ধান খাওয়ার জের ধরে ইফতারের পূর্বে ধন মেম্বারও আশিক আলীর পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় ধন মেম্বারের পক্ষের লোকজন শিপন আহমদকে দেশী অস্ত্র সুলফি দিয়ে শিপনের বুকে আঘাত করেন।
সংঘর্ষ চলাকালে শিপনসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় শিপনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিলে রাত সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে শিপন মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন।
থানা সূত্রে জানায়, এ ঘটনায় ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহত শিপনের চাচা রানা মিয়া রানা মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ধন মেম্বারের সাথে আমার ভাই আশিক মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। আমার ভাইয়ের রাস্তা ধন মেম্বার পাকা দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। আজ এলাইছ মিয়ার সাথে ছোরাব মিয়ার ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আমার ভাইয়ের উপর হামলা করে এলাইচ। এ সময় ধন মিয়া এলাইচের পক্ষ নিয়ে আমার ভাই ভাতিজাদের উপর হামলা চালায়। ধন মিয়া নিজে ধারালো সুলফি দিয়ে আমার ভাতিজাকে হত্যা করে।’
শিপন নামের এক যুবক নিহত হবার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারেপুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে