এম এ কাদের অপুঃ একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে পবিত্র মাহে রমজান, এই সময়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা.
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ১ নং বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের মালি বাউরতলা গ্রামে নারকেল গাছের ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে জায়গাজমিন সংক্রান্ত ব্যাপারে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৬ জনকে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, প্বাশবর্তি নৈরপাড় গ্রাম থেকে এসে মালি বাউরতলা নামক গ্রামে এসে বাড়ি করে বসবাস করে আসছে বিবাদীগণ।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, আনোয়ার হোসেনের ছেলে জাহেদ হোসেন হৃদয় (২০) এবং জাকির হোসেনের ছেলে সুজন (২২) নারকেল গাছের ডাব পাড়তে আসলে, বাদী আমিনুল ইসলাম শাকিবের পিতা আবুল হোসেন সহ তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে, হৃদয় ও সুজনসহ পরিকল্পিত ভাবে আনোয়ার হোসেনের ছেলে জাহেদ হোসেন হৃদয়, জাকির হোসেনের ছেলে সুজন, জাকির হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগম, আজিজ উল্লাহর ছেলে জাকির হোসেন, দিদার হোসেন, নোমান হোসেন, আজিজ উল্লাহ্র স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং মৃত আবদুর রহমানের ছেলে আজিজ উল্লাহগণ পরিকল্পিত ভাবে দা, ছেনি ও লোহার রড দ্বারা কোপিয়ে আবুল হোসেনের মাথায় ও পায়ে কোপ মারলে তা দেখে আবুল হাশের ভাই আবদুর রহমান এগিয়ে আসলে আবদুর রহমানের হাতে কোপ মেরে গুরুত্বর আহত করে, এবং তাদের চিৎকার শুনে মহিলারা বাহির হয়ে আসলে মহিলাদের কেও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করে, এবং ৩ নং আসামী জাকির হোসেন সাজেদা বেগমের গলায় থাকা সোনার ১ ভরি ওজনের চেইন সুমি আক্তারের হাত থেকে মোবাইল ফোন সহ ৫টি টিনের ঘরে বেড়া, দরজা ভাংচুর করে ঘরের ভিতরে ডুকে ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে প্রায় লক্ষাদিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
আহতদের কে তাতক্ষনিত চিকিৎসার জন্য লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীদের অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাঁসপাতালে প্রেরণ করে এবং রাতেই লাকসাম থানায় আবুল হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম শাকিব একটি অভিযোগ দায়ের করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লাকসাম থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জাহাঙ্গীর জানান, অভিযোগ হয়েছে, এবং এই ঘটনায় একজন গ্রেফতার করা হয়েছে।