কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরে সময়মতো বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, জুলেখা (৩০) নামে ভুক্তভোগী নারী জেলার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়ার মেহেদী হাসানের স্ত্রী। তিনি স্বামীর শহরের কমলাপুর এলাকায় বজলুল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গতকাল বুধবার সকালে জুলেখা তার বাড়ির বাইরে পাশের বাড়ির দুজন নারীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় বাড়িওয়ালার স্ত্রীর এলে তার সঙ্গে বাড়ি ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় জুলেখার। এক পর্যায়ে বাড়ির মালিকের বড় ছেলে রনি গর্ভবতী ওই নারীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জুলেখা চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পঠানো হয়।
কুষ্টিয়া জেনারল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার জানান, আগুনে জুলেখার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, বাড়ি ভাড়া নিয়ে ভাড়াটে জুলেখা ও বাড়িওয়ালার স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। একপর্যায়ে রনির সঙ্গে জুলেখার হাতাহাতি হয়। রনি ক্ষিপ্ত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা জুলেখাকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে। হত্যার চেষ্টাকারী রনিকে আটক করা হয়েছে।