মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃঃ
মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচাইতে ভয়ানক সিমটম ঘিওর উপজেলায় । জেলার দৌলতপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত কোন আক্রান্ত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি । মানিকগঞ্জ সদর সহ আক্রান্ত হয়েছে ৬টি উপজেলার মানুষ ।
আজ ২৯ এপ্রিল বুধবার আরো একজনের করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) পজেটিভ পাওয়া গেছে । আক্রান্ত যুবক মোঃ আসলাম(২৮) উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের মৌহালী গ্রামের মোল্লাপাড়ার আঃ মোন্নাফের ছেলে ।
এর আগে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের শোলধারা গ্রামের একজন আক্রান্ত হয় । এরপর গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্যকর্মী ইপিআই টেকনিশিয়ান মোঃ রফিকুল ইসলাম আক্রান্ত হয় । এ নিয়ে ঘিওর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বানিয়াজুরী, পয়লা ও বড়টিয়া এ ৩টি ইউনিয়নে মোট তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ।
জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত মোঃ আসলাম(২৮) এয়ারকন্ডিশন মেকানিক্স হিসেবে ঢাকার ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে চাকুরী করেন । গত ১২/১৪ দিন আগে তার সামান্য জ্বর হয়েছিল । তারপর ঐ ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থতা বোধ করেন । পরে তিনি কয়েকদিন আগে নিজ বাড়িতে চলে আসেন ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সৌমেন চৌধুরী জানান, গতকাল করোনা ভাইরাস পজিটিভ আক্রান্ত হওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঐ স্বাস্থ্যকর্মী ইপিআই টেকনিশিয়ান মোঃ রফিকুল ইসলাম তার বাড়িতে গিয়ে ২৬ এপ্রিল তারিখে নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন । সেখান থেকেই এই স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে । তিনি আরো বলেন, ঘিওর উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট তিনজন পুরুষ ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন । এদের কারোর মধ্যেই করোনার কোন উপসর্গ দেখা যায়নি । এ ধরনের উপসর্গ ছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষন সবচাইতে ভয়ানক । তাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একমাত্র সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া কোন বিকল্প উপায় নাই । এ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতনতার সাথে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সবাইকে জোর পরামর্শ দেন তিনি ।
তিনি আরো জানান, ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলশনে ৫ জন রোগী রাখার ব্যবস্থা রয়েছে । এ পর্যন্ত উপজেলার শতাধিক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আসলামকে আশংকাজনক সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । আজ তার কোভিট-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে ।কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় তার বাড়িসহ আশেপাশের মোট ৫টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরামর্শ মোতাবেক আইসোলেটেড করা হয় ।
মানিকগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত জেলায় ২১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ৯ জন, সিংগাইর উপজেলার ৬ জন, ঘিওর উপজেলার ৩ জন, শিবালয় উপজেলার ৩ জন ।