মোঃ আব্দুল আলী দেওয়ান (আব্দুল্লাহ)- চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর জেলায় আমাদের মতলব দক্ষিন উপজেলার মাছের বাজার ও মাছের আরদ একটি ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত বানিজ্য বা ব্যাবসা কেন্দ্র। অনেক বিখ্যাত বড় শহরের স্থানগুলো মাছ বিক্রি ও আরদ ব্যাবস্থার জন্য মতলবের কাছে হার মানতে হয়। কারন মতলব দক্ষিনের থানা সদরের বাজারটিতে সারাদিনই কোলাহলময় অবস্থায় ক্রয়-বিক্রয় হয় ছোট-বড় ও সকল প্রকার নানাহ জাতের মাছ এবং নানাহ থানা সদর ও জেলা শহর থেকেও ছুটে আসে এখানে মাছ কেনার জন্য। এমনকি রাজধানী শহর ঢাকাতে বাজারজাত করা হয় মতলবের জেলেদের স্বিকার করা মাছ। বর্তমানে করোনা প্রভাবে তা নির্জিব আকার ও কঠিন হুমকির মুখে পতিত। অস্থায়ী ভাবে মাছের বাজারটি বসছে মতলব দক্ষিন নিউ হোস্টেল মাঠে। যেখানে নেই সেই পুর্বের অবস্থা। মাছ বিক্রেতারা বলেন, আমরা যানিনা কবে সেই পুর্বের অবস্থায় যেতে পারবো আমাদের মাছ ব্যাবসা নিয়ে।
তারা অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করে যানান, আগের মত মানুষ (ক্রেতা) নেই, মাছের ডাক (দর কষাকষি) নেই, নেই মাছ কেনার বড় ধরনের প্রতিযোগিতা ও হিরিক। বহু কস্ট হচ্ছে ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে বলেও মন্তব্য করেন। কারন বর্তমানে করোনার প্রভাবে স্থান পরিবর্তন, মানুষের অনুপস্থিতি, ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা লোপ পাওয়া, বাজার ব্যাবস্থার উপকুল পরিবেশ, জেলেদের মৎস স্বিকারে অনিহা, মাছ বাজারজাত করোনে বাঁধা, সংক্ষিপ্ত সময়ে বাজার সিমীত রাখাসহ নানাহ বৈরী পরিবেশ গঠনের কারনে মাছ ব্যাবসায়ীগণ বহু কস্ট পোহাচ্ছে বলে যানা যায়। তারা অতি দ্রুত সেই আগের স্থানে এবং পুর্বের মত সুন্দর ও কোলাহলময় পরিবেশে মাছ বিক্রি করতে ইচ্ছুক।
এটা কোন মানব সৃস্ট নয়, কোন দলাদলি ও কোন প্রভাবশালীর কারনেও নয় কিংবা চাঁদা নিয়ে সমস্যা নয় এটা মহান আল্লাহর (সৃস্টিকর্তার) দেয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে। যার ফলে মাছ বাজারে নেমেছে ধ্বস। এটা শুধুই মতলব দক্ষিনে নয় বরং সারা বিশ্বের ক্ষমতাধর ও ধনী দেশগুলোতেও এর চাইতে কঠিন অবস্থা ও তারা অসহায় হয়ে পরেছে। আর আমাদের দেশ একটি গরীব ও অনুন্নত দেশ তাই এটা আমাদের জন্য বড় বিপদের কারন ও ধ্বংসের কারন হয়ে দাড়াবে যদি দ্রুত তা না কাটে। আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করুক।
(ছবিটি গতকাল বিকেলের)