পবিত্র রমজান শুরু হতে আরমাত্র চারদিন বাকি। আগে ভাগে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম। বেসামাল হয়ে উঠেছে শুকনো মরিচ, মশুর ডাল, পেঁয়াজ-রসুন, আদাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। গত দু-দিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। এদিকে বিশ^ব্যাপী বিরাজ করছে করোনাভাইরাস নামক মহামারী। এই মহামারীতে বাড়িতে বন্দি থাকা বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষ হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। আর এই কর্মহীন মানুষের জন্য বাজারের উর্ধ্বমূল্য অনেকটা মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল রবিবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মশুর ডাল (মোটা) ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মশুর ডাল (সরু) ১৫০ টাকা, শুকনো মরিচ সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৬০ টাকা, রসুন (দেশি) ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, আদা সাড়ে ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ মাত্র দুই থেকে তিনদিন আগে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মশুর ডাল (মোটা) ৭০ টাকা, মশুর ডাল (সরু) ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ সাড়ে ৩শ’ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
অর্থাৎ, দুইদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি মোটা মশুর ডাল ৩০ টাকা, সরু মশুর ডাল ৩০ টাকা, শুকনো মরিচ আড়াইশ’ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৫ টাকা, রসুন ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের ভোক্তাদের জন্য কষ্টকর।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ জহির উদ্দিন বলেন, ‘এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কোনো যুক্তিকতা নেই। চাহিদার তুলনায় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। তারপরও দাম বেড়েই চলেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। আরেক ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, রমযানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিবছর রমযানের আগে সবধরনের জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।’
ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তেই থাকে তাহলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের অবস্থা কি হবে? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এছাড়া আরো একাধিক ক্রেতার সাথে কথা বললে তারাও একই ধরনের মন্তব্য করেন।’