এমরান আহমেদ সিলেট থেকেঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশের বেশ কয়েকটি জেলার মতো সিলেটেও লকডাউন। যে কারণে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সিলেট। এমনকি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ও জেলার ভেতরে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যাতায়াতও নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় লকডাউন ভঙ্গ করে শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে সিলেট এলো একটি ট্রেন। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে দ্রুত স্টেশন ত্যাগ করে চলে যান। অথচ জেলা প্রশাসন বলছে এ ব্যাপারে কিছুই জানত না তারা। বিষয়টি জেনে শনিবার রাত ৮টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ মিয়া। রেল স্টেশনে গিয়ে তিনি লকডাউন থাকা সত্ত্বেও এত লোক সিলেটে আসার কারণ জানতে চান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ মিয়া জানান, স্টেশনে গিয়ে লোজনের সঙ্গে কথা বলেছি। রেল স্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমান বলেছেন বেতন নিতে তাদেরই লোক এসেছেন। এছাড়াও যারা এসেছেন তাদের তথ্য নেয়া হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্টেশন ম্যানেজার মো. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, যে ট্রেনটি এসেছে সেটিতে তাদের নিজস্ব ৫ জন ব্যক্তি বেতন ও আনুসাঙ্গিক সরঞ্জাম নিয়ে সিলেটে এসেছেন। ট্রেনে শতাধিক যাত্রী ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পৌছায় দুটি বগি ও একটি ইঞ্জিন সংযোজিত এক ট্রেন। ট্রেনটি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগে রেলওয়ের কয়েক জন কর্মকর্তা ও কমচারী স্টেশনে ঢোকেন। তারা গিয়ে স্টেশনের প্রধান ফটক খুলেও দেন। ট্রেনটি স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গে দুটি বগি থেকে রেলওয়ের কয়েকজন কর্মীসহ শতাধিক যাত্রী দ্রুত নেমে স্টেশন ত্যাগ করেন। এ সময় দু’জন যাত্রী জানিয়েছেন, তারা ঢাকা থেকে সিলেটে এসেছেন। জরুরি কাজ থাকায় তাদের সিলেট আসতে হয়েছে বলে জানান। স্টেশনে ট্রেন থামার কিছু সময় পর স্টেশনের নিজের কক্ষের দরোজা বন্ধ করে চলে যান স্টেশন ম্যানেজার মো. খলিলুর রহমান। এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম বলেন, সিলেটে ট্রেন আসার ব্যাপারে আমরা আগে থেকে জানতাম না। খবর পেয়ে বিষয়টি দেখতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে রেল স্টেশনে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।