এদিকে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বর্ষণ বয়ে যায় উপজেলার ওপর দিয়ে। আজ দুপুরে নলুয়ার হাওরে শিপন মিয়া নামে এক রাখাল বজ্রপাতে মারা গেছে। এছাড়াও বজ্রপাতে নুরুল হক নামে আরেক কৃষকের একটি গবাদিপশুর ঝলসে গিয়ে মারা যায়।
কৃষকরা জানান,হাওরের পাকাধানের শীষ দোলছে। ঝড়বৃষ্টি ও অকাল বন্যার শঙ্কা রয়েছে তাদের মনে এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে অন্য জেলার শ্রমিক কম আসায় শ্রমিক সংকটে পাকাধান নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে কৃষকদের মনে।
নলুয়ার হাওরের বাউধরন গ্রামের কৃষক ছালিক মিয়া জানান, হাওরের অধিকাংশ জমির ফসল পেকে গেছে শ্রমিক সংকটে পাকাধান নিয়ে আমরা দিশেহারা।
বেতাউকা গ্রামের কৃষক সুহেল মিয়া বলেন, ধান কাটার শ্রমিক পেয়ে যাওয়ায় ঝড় বৃষ্টির মধ্যেও আজ থেকে জমিতে ধান কাটা শুরু করেছি। বলা তো যায় না, কখন কি হয়।
নলুয়া হাওর ব্যষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন, অনেকেই ঝড় বৃৃষ্টির মধ্যেই ধান কাটছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কায় ফসলের মাঠে লড়ছেন কৃষকরা।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষকরা একমাত্র বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। অনেক কষ্ট করে কৃষকরা বোরো ফসল ফলিয়েছেন। ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারছেন না এরচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা আর হতে পারে না। তিনি প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায় এবার অন্য জেলার কৃষি শ্রমিক আসতে বিঘ্নসৃষ্টির অভিযোগ করেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন। জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। শ্রমিক সংকটে ধানকাটা কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা ত্রাণ সামগ্রী দিয়েও শ্রমিকদেরকে ধান কাটতে মাঠে নামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।