মনজুর মাওলা: লাখো মানুষের হার না মানা ভালোবাসায় প্লাবিত হলো আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাযা। আজকের জানাযায় সংজ্ঞায়িত হয়েছে “আল হুব্বু ফিল্লাহ’র চরম সত্যতা আর দুনিয়াবী ভালোবাসার মেকি নাটকিয়তা। এ দুটোর পার্থক্য ও তার উদাহরণ আজ দৃশ্যমান হলো চালাক-বোকা সবার সামনেই।
করোনা ভাইরাসের চলমান ভয়াবহতা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, লকডাউন পরিস্থিতি, সরকারি বিধিনিষেধ, আর্মি-পুলিশ, এমন কি মৃত্যুর ভয় কিছুই যেন আর বাধা থাকলো না! এত কিছুর পরও জনসমুদ্রে পরিনতে হয়ে গেলো জানাজার মাঠ ও তার আশপাশ।
যে সময় ছেলে বাবার লাশ রেখে পালাচ্ছে। প্রিয়জন কাছে আসছে না কাছে! কোটিপতি ধনকুবেরের পলিথিনে মোড়ানো লাশ স্বজনহীন পড়ে আছে হাসপাতালের বারান্দায়। বিরাট ক্ষমতাধর নেতা ; আজ তারও জানাযা ও দাফনের লোক নেই। সেই সময়ে একজন আলেমের জানাযায় লাখো মানুষের ঢল। কী রহস্য লুকিয়ে আছে এর মাঝে! এই ব্যতিক্রমী দৃশ্যে, এই অভাবনীয় ভালোবাসায় কি ভাবার কিছু নেই? চিন্তার খোরাক নেই?
অনন্তকালের জীবনকে যারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে। আল্লাহকে সবচে বেশী ভয় করে। পরকালের প্রস্ততি নেয়, তাদের প্রাপ্তিটা এ ভাবেই।
হে বোকা চালাকেরা!
হে গবেট বুদ্ধিজীবিরা!
জ্ঞানী নামধারী হে মুর্খরা!
দুনিয়াসর্বস্ব বস্তুবাদী ভোগপুজারীরা!
নিশ্চয় এসব দৃশ্যে রয়েছে তোমাদের শুভবুদ্ধি উদয়ের সুবর্ণ সুযোগ। চিন্তার বিশাল ক্ষেত্র।
দ্বীনি সম্পর্কের মৌলিক বাস্তবতা আর দুনিয়াবী সম্পর্কের মেকি নাটকিয়তার সংজ্ঞা জানতে ও পার্থক্য অনুধাবনে চেয়ে দেখ আজকের এ ভালোবাসার দরিয়ার ঢেউ।
এখানে আছে চিন্তার পাঠ।
আছে সবার জন্য সঠিক সমুঝ গ্রহণের চান্স!আল্লাহ পাক জানাযায় অংশগ্রহনকারীদের উত্তম বিনিময় দান করুন। আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারীকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।