আন্তর্জাতিক সংবাদ ঃ কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ভারতের প্রথম ব্যাচের রাফাল জঙ্গি বিমানের চালান আসতে তিন মাসের মতো দেরি হতে পারে। রাফাল উৎপাদনকারী দেশ ফ্রান্স বর্তমানে মহামারী সহসা উড়ছে না ভারতের রাফাল জঙ্গিবিমান মোকাবেলা করছে। সেখানে লকডাউন ও নিষেধাজ্ঞার কারণে বিমানের প্রশিক্ষণ সময়সূচিও বিলম্বিত হচ্ছে বলে প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো জানিয়েছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি প্রতিরক্ষা সূত্র দ্য হিন্দুকে জানিয়েছে, “মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ প্রথম গ্রুপের প্রশিক্ষণের আর মাত্র ৮-৯ সপ্তাহ বাকি ছিল, যাদের ওখান থেকে ফিরে দেশে বিমান চালানোর কথা ছিল। এপ্রিল থেকে আম্বালার উদ্দেশ্যে কিছু লজিস্টিক্স ও সহায়ক সরঞ্জামাদিও পরিবহন শুরু হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেগুলোর পরিবহন বন্ধ করা হয় এবং ভারতও ফ্লাইটের আগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে”।
‘সুনির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই’
ফ্রান্সে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ সেখানে সংক্রমনের মাত্রা চরম পর্যায়ে চলে গেছে। সে কারণে এটা স্বাভাবিক যে, পরিস্থিতির সাথে সাথে সময়ও বিলম্বিত হবে। দুটো সূত্র আলাদাভাবে এই কথা জানিয়েছে।
করোনা সঙ্কট ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের ব্যয় কাটছাট
প্রথম সূত্রটি জানিয়েছে, “ফ্রান্সে জারিকৃত লকডাউন এবং ভারত যেহেতু বাইরের দেশ থেকে বিমানের আগমন নিষিদ্ধ করেছে, এই সব কিছু মিলিয়ে আমরা জুলাই মাসের কথা ভাবছি”। যদিও এই সময়সীমা চুড়ান্ত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেষ সময়সীমা ২০২০ সালের মে মাস
নভেম্বর মাসে প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক পার্লামেন্টে লিখিত এক জবাবে বলেন যে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছে তিনটি রাফাল বিমান হস্তান্তর করা হয়েছে। ২০২০ সালের মে মাসের মধ্যে বিমান বাহিনীর ২৪ জন পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ান ফ্রান্সে এই বিমানগুলো পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিবেন। চুক্তি অনুযায়ী এর আগে বিমান বাহিনীর তিনজন পাইলট এবং দুজন টেকনিক্যাল অফিসারকে ফ্রান্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ফ্রান্সে কোভিড-১৯ মহামারী চরম আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে শনিবার নাগাদ আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার পেরিয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩,৮০০ হয়েছে। ১৭ মার্চ থেকে সেখানে লকডাউন চলছে। ফরাসী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। শুক্রবার জানানো হয়েছে যে, বিভিন্ন বাহিনীর ৫০ জন সদস্যের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে।