মুক্তাগাছা :: নতুন ক্লিনিক করার অপরাধে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক চিকিৎসককে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগে উঠেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার নিরাময়
ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ক্লিনিকের মালিক ও উপজেলা তাঁতী লীগের নেতা বিপ্লব সরকারসহ তিন জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে মুক্তাগাছা থানায়। পুলিশ এরইমধ্যে ক্লিনিকটিকে সিলগালা করে দিয়েছে।
নিহত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি উপজেলার তারাটির এরাইজতলা গ্রামে।
নিহত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী সালমা মোস্তাফিজ বলেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহরের পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকার নিরাময় ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে নিয়মিত মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। সে ওই ক্লিনিকে থাকা অবস্থায় তার বাড়িতেই জুনায়েদ ডায়াগনোস্টিক নামে আরেকটি ক্লিনিক খোলার প্রস্তুতি নেয়। এর পর থেকেই নিরাময় ক্লিনিকের মালিক ও উপজেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক বিপ্লব সরকারের সাথে মনোমালিন্য হয়। ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের ক্রয়কৃত ক্লিনিকের সব মালামাল নেওয়ারও নানা ফন্দি আঁটেন বিপ্লব সরকার। এ ঘটনার পর থেকে ডা.মোস্তাফিজুর রহমার ওই ক্লিনিকে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে বুধবার সকাল ১১টার দিকে কৌশলে ওই ক্লিনিকের তৃপ্তি নামে এক নার্স দিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে ডেকে নেওয়া হয় নিরাময় ক্লিনিকে। ওইদিন রাতে বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দেওয়ার পর ক্লিনিকের মলিক বিপ্লব সরকার ফোন রিসিভড করে জানায় মোস্তাফিজ রোগী নিয়ে ব্যস্ত। ওই রাতে মোবাইল ফোনে তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি প্রাইভেটকার করে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয় ক্লিনিক মালিক বিপ্লব সরকার। এর পর থেকেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওইদিনই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে সে মারা যায়।
সালমা আরও বলেন, তার স্বামীকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তার মুখে বিষের আলামতও পেয়েছেন।
এ ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক বিপ্লব সরকার, আল্টাসনোলিস্ট ডা. মাজহারুল ইসলাম মাসুম ও নার্স সুমি আক্তারকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় শনিবার রাতে হত্যা মামলা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের মালিকসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সুত্র . সমকাল