ইউসা আহমদ হলিবিডি প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আপনারা গ্রামের রাস্তা লকডাউন করছেন। আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো কথা। তবে নিচের পরামর্শগুলো মেনে গ্রাম লকডাউন দিয়েছেন তো?
রাস্তায় যখন লকডাউন করবেন প্রথমে আপনারা দুইজন স্বেচ্ছাসেবক রাখবেন। পাশাপাশি গ্রাম পুলিশের একজন রাখতে পারেন। সাথে জীবাণুনাশক স্প্রে মেশিন রাখবেন। যদি কেউ জরুরী কাজে গ্রামে প্রবেশ করে তাকে জীবাণুনাশক স্প্রে দেওয়ার পর প্রবেশ করতে দিবেন৷
গ্রামের রাস্তা বন্ধ কিন্তু গ্রামের মধ্যে সবাই আড্ডা দেয় কিনা সেটা আপনাদের রোধ করতে হবে।
এখন গ্রামের সবাই কিন্তু ফ্রি আছেন, তাই যুবক ভাইদেরকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন শিফট করে ডিউটি করলে ভাল হবে।
গ্রাম যখন লকডাউনের আওতায় আনবেন। তখন স্বেচ্ছাসেবকদের একটি রেজিস্ট্রার খাতা দিয়ে দিবেন। তাহলে যারা জরুরী কাজে গ্রামে প্রবেশ করবেন, তাদের নাম এন্ট্রি করবেন। পাশাপাশি নিজেরা নিরাপদে থাকবেন। দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করবেন।
গ্রাম লকডাউন করার সাথে সাথে জরুরী এম্বুলেন্স এর সাথে যোগাযোগ করে নাম্বার রাখুন, কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত যেন তাকে হাসপাতালে নেওয়া যায়৷ সে ব্যবস্থা করে রাখুন।
গ্রামের যারা নিম্ন,নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ আছেন। তাদের নামের তালিকা করুন। উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে কথা বলে পর্যায়ক্রমে সবাইকে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
২টি মোটরবাইক রাখুন যেগুলো জরুরী কাজে বাহিরে যেতে লাগবে। যেমন অনেক ওষুধ গ্রামে পাওয়া যায় না, সেগুলো এনে দিবেন৷ কারো নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও জরুরী সেবা দিবেন।
লকডাউনের নামে রাস্তা বন্ধ করে জরুরী সেবা ও গাড়ি চলাচল ব্যাহত করবেন না।
লকডাউনের আক্ষরিক অর্থ, জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষের গতিবিধি বন্ধ করে দেওয়া।
লকডাউনের আওতায় পড়বেনা কোনও জরুরি পরিসেবা। খাবার-ওষুধ, জ্বালানি মিলবে অন্য সময়ের মতোই। হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স , জরুরি পরিসেবাও লকডাউনের আওতায় আসবে না।সোজা কথায় জনগণের স্বার্থেই প্রশাসন চাইছে যাতে অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে পা না রাখেন। ফলে এই লক ডাউন আতঙ্কের নয়, স্বস্তির। তবে বাঁশ দিয়ে রাস্তা একেবারে ব্যারিকেইট দেওয়ার নাম লকডাউন নয় ৷
উপর্যুক্ত বিষয়াদি বিবেচনা করে আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।এটা আমার মতামত। সবার সাথে না মিলতে পারে।