১৯ বছরের যুদ্ধের ইতি টানার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে, এ অবস্থায় মনে হচ্ছে যে মার্কিন স্পেশাল অপারেশান্স ইউনিটগুলো দেশটিতে শেষ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১৪ মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে, এবং প্রায় ৫,০০০ মার্কিন সেনা দেশে ফিরে যাচ্ছে। ফলে দেশটিতে বাকি থাকবে নয় হাজারেরও কম সেনা। এখানে অবশ্য একটি শর্ত রয়েছে। বাকি সেনা প্রত্যাহারের জন্য তালেবানদেরকে অবশ্যই তাদের শর্ত পূরণ করতে হবে। কিন্তু তালেবানরা এ ক্ষেত্রে ব্যার্থ হতে শুরু করেছে। কিন্তু তালেবানরা যদি সত্যিই তাদের শর্ত পূরণ করে, তাহলে কি হবে? সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট একটি সন্ত্রাসদমন কন্টিনজেন্ট শুধু আফগানিস্তানে থেকে যাবে। এর অর্থ কি? সেটা হলো যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশান্স ইউনিটগুলো থেকে যাবে।
আর এর অর্থ হলো স্পেশাল ফোর্সসেস অপারেশানাল ডিটাচমেন্ট আলফাস (ওডিএ) এবং মেরিন স্পেশাল অপারেশান্স টিমস (এমএসওটি) আফগান এসওএফের সাথে কাজ করতে থাকবে এবং হয়তে ভিলেজ স্ট্যাবিলিটি অপারেশান্স (ভিএসও) আবার চালু করা হবে, যদিও সেই সম্ভাবনাটা অনেক কম। জনগণের হৃদয় মন জয় করার জন্য এ ধরণের অভিযান আগে চালানো হয়েছে।
যে কারণে আমেরিকা আফগানিস্তানে গিয়েছিল, সেটা হলো আফগানিস্তান আল কায়েদাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছিল। চুক্তি পরবর্তীকালে আফগানিস্তানে যদি যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি থাকে, তাহলে তারা অবশ্যই সন্ত্রাসদমন শক্তি হিসেবে কাজ করবে এবং আল কায়েদা বা ইসলামিক স্টেটের মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে মোকাবেলার ক্ষেত্রে তারা ভূমিকা রাখবে। যদিও আল কায়েদা এতদিনে যথেষ্ট দুর্বল হয়ে গেছে।
এফআইডি’র পেছনে থেকে যাওয়ার পেছনে যে কারণই থাকুক না কেন, সন্ত্রাসী টার্গেটগুলোতে হামলা চালানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন হবে। আর এখানেই ভূমিকা রাখবে ৭৫তম রেঞ্জার রেজিমেন্ট ও সিল টিম। যদিও আফগানিস্তানের পরিবেশে অভিযানের জন্য রেঞ্জার রেজিমেন্টই বেশি দক্ষ। ভৌগলিকভাবে ছড়িয়ে থাকে রেঞ্জার প্লাটুনগুলো কমাণ্ডারদের সরাসরি পদক্ষেপ নেয়ার শক্তি যোগাবে।
জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশান্স কমাণ্ডের (জেএসওসি) যে অবদান এখানে থাকবে, সেটা আসবে নেভাল স্পেশাল ওয়্যারফেয়ার ডেভলপমেন্ট গ্রুপের কাছ থেকে, যেটা সিল টিম সিক্স নামেও পরিচিত। ২০০৩ সালে ইরাকে যুদ্ধে জড়ানোর পর আমেরিকা যখন আফগানিস্তানেও যুদ্ধে জড়ালো, তখন জেএসওসিকে তাদের বাহিনীকে দুটো ভাগে ভাগ করতে হয়েছিল। এর একটি ডেল্টা ফোর্স এবং অন্যটি সিল টিম সিক্স নামে পরিচিত।