ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা ডিফেন্স পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস (ডিপিএসইউ) ও অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড (ওএফবি) কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে চলমান দেশব্যাপী লড়াইয়ে স্বস্তি দিতে প্রস্তুত হয়েছে। ওএফবি ভারতের ১০টি হাসপাতালে ২৮০টি আইসোলেশন বেড দেয়ার পরিকল্পনা করছে, আর হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যালস লিমিটেড (এইইচএএল) বেঙ্গালুরুতে ৯৩ জনের জন্য স্থাপনা নির্মাণ করছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ওএফবির আইসোলেশন বেডগুলো হাসপাতালগুলোতে কিংবা ভেহিক্যাল ফ্যাক্টরি জাবালপুর, মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরি ইশাপুর, গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি কাসিপুর, কোলকাতা, অ্যামুনেশন ফ্যাক্টরি খাদকি, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি কানপুর, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি খামারিয়া, হেভি ভেহিক্যাল ফ্যাক্টরি আবাদি ও অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি মেদাকে স্থাপন করা হতে পারে। এইএএল আইসিইউতে তিনটি বেড এবং ওয়ার্ডগুলোতে ৩০টি বেড স্থাপন করছে। অধিকন্তু, প্রয়োজন মেটাতে ৩০ কক্ষের একটি ভবনও নির্মাণ করা হচ্ছে। অরুনাচল প্রদেশ সরকারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় ৫০টি বিশেষায়িত তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী স্যানিটইজারও তৈরী করার কাজ শুরু হয়েছে। অর্ডন্যান্স কারখানাগুলো ইতোমধ্যেই ১৩ হাজার লিটার স্যানিটাইজার উৎপাদনের অর্ডার পেয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, তামিল নাড়ুর কারবাইড ফ্যাক্টরি অরুভানকাড়ু তাদের ১৫০০ লিটার স্যানিটাইজারের প্রথম ব্যাচ ৩১ মার্চ উৎপাদন করেছে। অন্যান্য কারখানাতেও স্যানিটাইজার উৎপাদিত হচ্ছে। কানপুর, শাহজাহানপুর, হজরতপুর ও চেন্নাইয়ের অর্ডন্যান্স ইকুইপমেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো কভারঅল ও মাস্ক তৈরি করে যাচ্ছে পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্টের আওতায়। অন্যান্য ফ্যাক্টরিতেও এগুলো নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। ওএফবি শিগগিরই সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ হাজার কভারঅল উৎপাদন করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড আগামী দুই মাসের মধ্যে ৩০ হাজার ভেন্টিলেটর সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে