এমরান আহমেদঃঃ করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশের ন্যায় দোকান পাট ব্যবসা, যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জে। শুধু নিত্যাপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর দোকান ছাড়া।এতে করে ছোট বড় সকল ধরনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাহাকার পড়ে গেছে।কারন তাদের বেশির ভাগের দোকান কোটা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন।এখন সপ্তাহের উপরে তাদের সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এখন কিভাবে সংসার চলবে কিভাবে দোকান ভাড়া দেবেন সেই চিন্তায় রয়েছেন তারা। কারন তারা ও কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না। আবার কাউকে বলতে পারছেন না। ঠিক এই অবস্হায় মধ্যবিত্তরা আছেন বড় বিপদে। তারা তাদের কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারছেন না। ‘নিম্নবিত্তের লোকজন তো সরকারি ত্রাণ পাচ্ছে, বেসরকারি সহায়তা পাচ্ছে, কিন্তু মধ্যবিত্তের কী হবে?
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার একাধিক ব্যাবসায়ী সিএনজি- কার লাইটেস চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায় সপ্তাহের উপরে চলছে লকডাউন
করোনা পরিস্থিতির কারণে, কঠিন অনিশ্চয়তায় পড়ে অন্ধকার দেখছেন এখন চোখেমুখে। কীভাবে দোকান ভাড়া বাসা ভাড়া বিদ্যুৎ বিল দেবেন, কীভাবে সংসার চালাবেন, সেই চিন্তায় ঘুম আসে না তাদের। কিন্তু কাউকে এমন কষ্টের কথা বলতেও পারছেন না। অনেকটা আক্ষেপের সুরেই বলেন, ‘পয়সা ওয়ালাদের কোন সমস্যা নেই। গরিবরা ত্রাণ পায়। আর মধ্যবিত্তরা না খেয়ে চোখের পানি লুকায় কাউকে প্রকাশ করতে পারে না।
পালবাড়ি বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন আমাদের খবর কেউ রাখে না, আমরা কিভাবে চলব। বলা হচ্ছে তিন মাস বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল পরে দিলে চলবে। তাই আমরা চাই আমাদের তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা হোক। কারন আমরা খেয়ে বাচতে পারছি না, পরে এক সাথে কিভাবে বিল দিব।
মাইজগাঁও বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সারাদেশে সবকিছু বন্ধ এই মুহূর্তে গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষেরা খাবার ও এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাচ্ছেন অনেকেই সরকারের তরফ থেকে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে মধ্যবিত্তের পাশে নেই কেউ। ঘরে খাবার না থাকলেও মধ্যবিত্তরা লোক লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারছে না। ফেঞ্চুগঞ্জের মতো লাখ লাখ মধ্যবিত্তের অবস্থাও প্রায় একই। কিভাবে চলবো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
ঘিলাছড়ার একজন ব্যবসায়ী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘এটা কোনো জীবন হলো !
সংসার চালাতে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। চক্ষুলজ্জায় কষ্টগুলো কাউকে প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা মধ্যবিত্ত আমাদের কোনো কষ্ট নেই। আছে শুধু সুখ। কিন্তু এর আড়ালে আমরা যে কত কষ্টে জীবনযাপন করি, তা কাউকে বোঝানো যায় না। কেউ বোঝারও চেষ্টা করে না।’
অপরদিকে মাইজগাঁও অটোরিক্সা ৭০৭ এর অন্তর্ভুক্ত মাশুয়ারা কন্ট্রাক্টে একাধিক সিএনজি চালক বলেন দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভর করে আমাদের সংসার খরচ আবার মাস শেষে গাড়ির মালিকের টাকা দেওয়া কিন্তু এই মাসে করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের ন্যায় ফেঞ্চুগঞ্জেও করা হয়েছে লকডাউন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারিনা আর যদিও বের হই তাহলে মানুষ শুন্য রাস্তা কিভাবে নিজের সংসার চালাবো আবার গাড়ির মালিককে মাস শেষে টাকা দেবো কিছুই বুঝতে পারছিনা আর বর্তমানে হাতে কোন টাকা নেই তাই চোখেঁ অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা।