এশিয়ার দেশগুলোর ভেতর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর গ্রাউন্ড স্ট্রাইক ক্যাপাসিটি একেবারেই শোচনীয়…. নাম মাত্র গ্রাউন্ড স্ট্রাইকের ক্ষমতায় নেই তেমন কোনো আধুনিক ওয়েপন।
কোনো টার্গেটিং পড নাই….
নিখুঁত ভাবে টার্গেট খুঁজে বের করা, পিন পয়েন্ট এ্যাকুরেসিতে হামলা করা এবং দিন-রাত যেকোনো সময় হামলা করতে হলে টার্গেটিং পডের কোনো বিকল্প নাই। আজ কালের যুগে টার্গেটিং পড ছাড়া গ্রাউন্ড এট্যাকের কথা ভাবাই যায় না। তবে বিডির কোনো যুদ্ধবিমানের টার্গেটিং পড ব্যাবহারের ক্ষমতা নাই, তাই বাংলাদেশের টার্গেটিং পডও নাই। তবে মিয়ানমার চাইলে টার্গেটিং পড ব্যাবহার করতে পারবে।
কোনো এয়ার লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল নাই….
বিডির হাতে কোনো এয়ার লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল নাই। আর থাকারও কথা নয়, কারন ক্রুজ মিসাইল ফায়ার করার ক্ষমতা বিডির কোনো যুদ্ধবিমানের নাই৷ অথচ মিয়ানমারের কাছে পর্যন্ত এয়ার লঞ্চড এন্টিশিপ, গ্রাউন্ড এট্যাক ক্রজ মিসাইল রয়েছে।
কোনো এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল নাই….
আধুনিক ব্যাটেলফিল্ডে এয়ার কম্ব্যাক্টের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল। এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল হলো এমন এক ধরনের মিসাইল যা, শত্রুর রাডার স্টেশন বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের রাডারের প্যাসিভ সিগন্যালকে অনুসরন করে গমন করে এবং শত্রুর রাডারকে ধ্বংস করে দেয়। এই মিসাইলের মাধ্যমে শত্রুর রাডার ব্যাবস্থা ধ্বংস করে শত্রুকে একেবারে কানা বানিয়ে ফেলা যায়৷ মিয়ানমারেরও এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল ফায়ারের ক্যাপাবিলিটি আছে। তারা যদি এই মিসাইল কিনে থাকে তাহলে তারা চাইলে ১০০ কিমি দুর থেকেই বাংলাদেশের যেকোনো রাডার ব্যাবস্থা ধ্বংস করে দেবার ক্ষমতা রাখবে।
স্ট্যান্ড অফ ওয়েপন নাই…..
আধুনিক এয়ার স্ট্রাইকের অত্যন্ত স্মার্ট এবং কার্যকর অস্ত্র হচ্ছে স্ট্যান্ড অফ ওয়েপন৷ এগুলোকে একসাধে মিসাইল এবং বম্ব দুটোই বলা যায়। কারন এগুলোতে মিসাইলের মত বুস্টার ইঞ্জিন আছে, কিন্তু এগুলো গ্লাইড বম্বের মত গ্লাইড করে শত কিলো মিটারের চেয়েও দুরের বস্তুতে গিয়ে আঘাত করতে পারে। ফলে বম্বিং করতে চাইলে আধুনিক বম্বার বা মাল্টিরোল ফাইটারগুলোকে এখন আর টার্গেট এরিয়ায় যেতে হয় না, বরং শত কিমি দুর থেকেই স্ট্যান্ড ওফ ওয়েপন ফায়ার করে টার্গেট ধ্বংস করতে পারে। মিয়ানমারেরও স্ট্যান্ড অফ ওয়েপন ফায়ারের ক্যাপাসিটি আছে, ওয়েপন কিনলে তারা সেগুলো ফায়ার করতে পারবে।
আধুনিক যুগে গ্রাউন্ড স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটির কোনো বিকল্প নাই। সবদেশই এখন যুদ্ধের শুরুতেই এয়ার স্ট্রাইক করে শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট ধ্বংস করে দিয়ে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবার প্ল্যানিং করে। সেই গ্রাউন্ড এ্যাট্যাকের ক্ষমতাই যদি না থাকে তাহলে বাস্তব ব্যাটেলফিল্ডে এই এয়াফোর্স কোনো কাজে আসবে না।
২০১৯ সালে ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারী আমরা পাক-ভারতের গ্রাউন্ড স্ট্রাইকের ক্ষমতা দেখতে পেয়েছি। ২৬ তারিখ ভারত ব্যাবহার করে ইসরাইলের তৈরি Spice জিপিএস গাইডেড বম্ব, যদিও যায়গামত হামলা করতে না পারায় এগুলো ব্যার্ধ হয়। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তান ব্যাবহার করে নিজেদের তৈরি H-4 স্ট্যান্ড অফ ওয়েপন। ফলে নিজেদের এয়ারস্পেসে থেকেই তারা ভারতের ৪ কিমি অভ্যন্তনে আর্মি হেডকোয়ার্টারের অস্ত্র গুদামে হামলা করে।
উপরে যত ধরনের ওয়েপন আর ইকুইপমেন্টের কথা বলেছি, মিয়ানমারের JF-17 এবং আপকামিং Su-30 গুলো সেসবই ক্যারি এবং ফায়ার করতে পারে