ব্যুরো অফিস সুনামগঞ্জঃঃ সুনামগঞ্জে জনগণের সেবা করার শপথ নিয়ে যে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আছেন, যাদের ভোটে তারা মহান সংসদে যান, এই মহাদুর্যোগে তাদের টিকিটিও দেখা পাচ্ছে না সুনামগঞ্জের (১১) উপজেলার সাধারন জনগণ।
কাজ নেই, ঘরে, বন্দি, খাবার নেই, ঔষধ নেই, চিকিৎসা নেই, হাসপাতালে ডাক্তার নেই। চরম বিপাকে পড়া মানুষগুলো এখন জনপ্রতিনিধিদের দেখা না পেয়ে চরম হতাশ হয়ে পড়ছে। এভাবে জনগনকে বিপদে রেখে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে আত্মগোপনে থাকা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন সবচেয়ে বেশি হাওয়ার পাড়ের মানুষগুলোর।
সরকার করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হবার পরপরই অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধ করে দেয়া হয় দরিদ্র মানুষের একমাত্র জীবিকা আহরণের পথটুকুও।
তবে জনগনের স্বাস্থ্য বিবেচনায় এ দুর্ভোগ সবাই মেনে নিয়েছে। আর সরকারও দরিদ্র মানুশের পাশে দাড়াবার অঙ্গিকার করেছে। কিন্তু এই ছিন্নমুল মানুষের পাশে সরকারের পক্ষ হয়ে যাদের দাড়াবার কথা সেই জনপ্রতিনিধরাই উধাও হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে নির্বাচিত এমপি ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ সবার একই অবস্থা। করোনা আতঙ্ক শুরু হবার পর তারা কোথায় আছেন সাধারণ মানুষ তা জানে না।
অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন তারা তো বসন্তের কেকিল, নির্বাচন আসলে জনগনের দরকার, এখন জনগনের খবর নিয়ে কি এলাকায় নেই বললেই চলে। মানুষের পাশে যাদের দাড়াবার কথা তারা সবাই ঢাকায় তাদের সুরক্ষিত বাড়িতে অঘোষিত কোয়ারেন্টিনে আছেন।
তবে কে কোথায় আছেন সেটাই রহস্যজনক। কিন্তু এই সংকটে ত্রান, ঔষধ নিয়ে মানুষের পাশে যাদের দাড়াবার কথা তারই লাপাত্তা।
স্বপ্ন দেখার আগেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে কি হাওর পারে সাধারণ কৃষকদের।
হাওরের বোরো ফসল তুলতে পারবে কি এই ভাবনায় ভাবছে হাওর পাড়ের কৃষক। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বেশিরভাগই হাওর এলাকা এসব এলাকার মানুষ গুলো করোনা ভাইরেসর যন্ত্রণার থেকেও না খাওয়ার যন্ত্রণায় বেশি ভুগতে হচ্ছে।