ভারতীয় কোবরার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চীনের তৈরি অ্যাটাক হেলিকপ্টার জেড-১০এমই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বেল ও তুর্কি অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনায় বাধার সম্মুখিন হয়ে পাকিস্তান এখন চীনের দিকে ঝুঁকেছে।ইসলামাবাদ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন মিলিটারি সেলের আওতায় সেদেশের তৈরি ১২টি বেল এএইচ-১জেড হেলিকপ্টারের অর্ডার দেয়। এরপর ২০১৮ সালে ৩০টি টি১২৯ কেনার জন্য টার্কিশ এরোস্পেসের সঙ্গে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের নিরাপত্তা তহবিল দেয়া বন্ধ করে দেয়ায় এএইচ-১জেড সরবরাহ আটকে যায়।
অন্যদিকে টি১২৯ হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এলএইচডিইসি টি৮০০ ইঞ্জিন রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে তুর্কি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিটিও স্থগিত হয়ে যায়। এই অচলাবস্থার মাঝে এবং পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বহরে থাকা ৪৮টি বেল এএইচ-১এ হেলিকপ্টার অবসর গ্রহণের প্রেক্ষাপটে জরুরি চাহিদার কারণে ইসলামাবাদ বিকল্প অনুসন্ধানে বাধ্য হয়। এরই অংশ হিসেবে এখন চীনের তৈরি জেড-১০এমই অ্যাটাক হেলিকপ্টারের কথা বিবেচনা করছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে ডিফেন্স আইকিউ’র ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি হেলিকপ্টার কনফারেন্সে পাকিস্তান আর্মি এভিয়েশনের কমান্ডার মেজর জেনারেল সৈয়দ নাজিব আহমেদ বলেন, ইসলামাবাদকে বিকল্প চিন্তার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অন্যান্য বিকল্প বিবেচনা করছি। এর একটি হলো চীন, তারা জেড-১০এমই নামে নতুন অ্যাটাক হেলিকপ্টার তৈরি করেছে। প্রথম দুটি বিকল্প বাস্তবায়িত নাহলে তৃতীয় বিকল্প বিবেচনা করা হবে।
এর আগে পাকিস্তান সিএআইসি জেড-১০ সংস্করণটি মূল্যায়ন করেছিলো। কিন্তু আহমেদ বলেন নতুন সংস্করণটি উন্নত অস্ত্র ও সিস্টেমে সজ্জিত। এএইচ-১জেড চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত হওয়া নিয়ে আহমেদ খুবই সন্দিহান। তুরস্ক টি১২৯-এর জন্য দেশীয় ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করলেও তা সময় মতো করা যাবে কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে পাকিস্তানকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে আহমেদ জানান। তুলনামূলক জরুরিভিত্তিতে এসব কিনতে চাওয়ার কারণ হলো প্রতিবেশী ভারতের সামর্থ বেড়ে যাওয়া। বোয়িংয়ের কাছ থেকে এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচি হেলিকপ্টার কিনে নয়া দিল্লি তার বহরের শক্তি বাড়াচ্ছে। আহমেদ বলেন, অ্যাপাচির সঙ্গে কোবরার কোন তুলনা চলে না। আমরা এর সঙ্গে পাল্লা দিতে চাই। ২০১৬ সালে বেল ঘোষণা দিয়েছিলো যে তারা পাকিস্তানের কাছে ১২টি এএইচ-১জেড ভাইপার বিক্রি করবে। এসব হেলিকপ্টার ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম ৯৫২ মিলিয়ন ডলারে পাকিস্তানের কাছে বিক্রি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি প্রথম রোটোক্রাফটটি পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তরের কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটায় এখনো হেলিকপ্টারগুলো সরবরাহ করা হয়নি|
Source গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস