মারাত্মক রোড এক্সিডেন্ট করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকেও হতদরিদ্র অসহায় মানবতার কল্যান চিন্তায় স্থানিয় ও প্রবাসীদের সাথে নিয়ে কাজ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ রুকুনুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন দেশের যে কোন দুর্যোগপূর্ণ সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষের দুরারোগ্য ব্যাধিতে, চিকিৎসা সহযোগিতা, শীতবস্ত্র ববিতরণ, শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল স্থাপন, এতিম অসহায় ঘরবাড়ী নেই এমন আশ্রয়হীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেয়া, গরীব এতিম দের লেখাপড়া সহ বিবাহ সম্পাদনে সাহায্য,সহযোগিতা ও ফ্রিতে চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মেডিকেল টিমের মাধ্যমে গরীবদের চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ফ্রিতে খতনা সহ এসকল মানব কল্যাণকর বিষয়াদিতে সবার আগে এগিয়ে আসতেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত আমার দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রিয় প্রবাসী ভাই ও বোনেরা।
এর মধ্য উল্লেখযোগ্য সিলেট জেলা সহ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন কয়েকটি প্রবাসী সংগঠননের নাম কৃতজ্ঞতারর সাথে স্মরণ করতে হয় যেমন -ফেঞ্চুগঞ্জ কল্যাণ সমিতি ইউকে, ফেঞ্চুগঞ্জ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে, উত্তর কুশিয়ারা আন্তর্জাতিক প্রবাসী অনলাইন গ্রুপ, ফেঞ্চুগঞ্জ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউএসএ, ফেঞ্চুগঞ্জ কল্যাণ সমিতি কুয়েত, ফেঞ্চুগঞ্জ কল্যাণ সমিতি কাতার, প্রবাসী কল্যাণ ফেডারেশন কাতার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্স। জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউএসএ,
শওকত আলী ফাউন্ডেশন ইউকে, ফেঞ্চুগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ড ইউকে। হেল্প ফর নিডি ইউকে,
মানিককোনা আন্তর্জাতিক অনলাইন গ্রুপ,
ঘিলাছড়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে,
হৃদয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ আন্তর্জাতিক অনলাইন গ্রুপ্, প্রাণের ফেঞ্চুগঞ্জ আন্তর্জাতিক অনলাইন গ্রুপ, আসকর আলী সোশ্যাল ফান্ড এছাড়াও আরো অনেক সংগঠন সহ ব্যক্তি ও পারিবারিক অর্গানাইজেশন রয়েছে যারা বেশিরভাগই নিরবে ও কেউকেউ মাঝেমধ্যে ভালোলাগা থেকেও অনিচ্ছাকৃত ওকেশনালী প্রকাশ্যে দান করে থাকেন।
কিন্ত বর্তমান সময়ে একযোগে সারা বিশ্বময় মরণ ঘাতক মহা প্রলয়ঙ্করী #করোনাভাইরাস পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে ক্রমন্বিতভাবে প্রায় একিসাথে সংক্রমিত হয়ে আঘাত আনার কারনে, বিশ্ব মানবতা, পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা প্রায়ই অচলাবস্থার দিকে ধাবিত এবং বিদ্যমান। যার জন্য পৃথিবীর প্রায় সকল উন্নত দেশেও এখন সেচুয়েশন এমন যে জরুরী অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছেন, যার জন্য একান্ত মৌলিক কাজ ছাড়া সকল নাগরিকদের ঘর থেকে না বেরুতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাই বিদেশে অবস্থানরত আমাদের দেশের প্রবাসীরা অনেক কষ্টে ও অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন, সাথে রয়েছে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসা বাণিজ্য নাই এমন অসচ্ছল ও নতুন প্রবাসীদের অসহনীয় যন্ত্রনা। আমি/আমরা দোয়া করি আল্লাহ সুবহানাহুতা’লা তাদের সহায় হউন।
পাশাপাশি বিস্বপরিমন্ডলে উন্নত রাস্ট্রে বসবাসকারী যেসকল প্রবাসীরা আছেন এই ক্রাইসিস মুহুর্তেও যাদের সুযোগ রয়েছে এমন হৃদয়বান ব্যক্তি সংগঠনের দায়িত্বশীল আল্লাহর বান্ধাদের কাছে আবেদন আমি আপনাদের মানবিক সুদৃষ্টি কামনা করছি অন্তত লি_ওয়াজহিল্লাহ নিম্ন লিখিত বিষয়ট বিবেচনায় নিবেন যেন দারিদ্রসীমার নিচে বাসকারী আপনার আমার দেশিয় জনপদের অসহায় অস্বচ্ছল গরীব লোক যারা ঘর থেকে বেরুতে পারবেনা, কাজ পাবেনা, কাজে গেলে কেউ কাজ করাবেনা, পারলেও অনেকে কাজে নিচ্ছেনওনা এমন পরিস্থিতি অলরেডি তৈরি হতে চলেছে অন্তত তাদের জন্য আপনারা পূর্বের ন্যায় ইনশাআল্লাহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। আমরাও আমাদের সাধ্যানুযায়ী আপনাদেরকে সাথে নিয়েই তাদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আল্লাহতালা সে তাওফিক দান করুন।
তিনি আরও বলেন দেশের সকল রাজনৈতিক,অরাজনৈতিক, সামাজিক,দাতব্য ও সেবামূলক অর্গানাইজেশন, গ্রুপ, ক্লাব,সংঘ,সমিতি সহ সবাই, আসুন সকল ভেদাভেদ ভূলেগিয়ে দল ও মতের উর্ধ্বে থেকে এক ও একাট্টা হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা করি এবং ক্ষমা চাই আর এই মহাবিপদে একমাত্র আল্লাহর নিকট স্বলাত আর সবরের মাধ্যমে সাহায্য কামনা করি।
আসুন গুনি লেখকের সুশোভিত কল্যাণীয় নীতিমালায় আবারো শ্লোগান তুলি,
পরের জন্য করলে কিছু, নিজের জন্য করা হয়, আল্লাহতালার নিকট থেকে পাওয়া যায় তার বিনিময়।
তাই বিশেষ করে সচেতন যুবসমাজের প্রতি আহবান, যুবক ভাইয়েরা সিদ্ধান্ত নিলে ইনশাআল্লাহ কাজটি খুব সহযেই করতে পারবেন। লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবো
আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক মানুষ রয়েছেন যারা দিন আনে দিন খায় অর্থাৎ প্রতিদিন কাজ না করলে ওনাদের চলতে খুব কষ্ট হয় ৷ যেমন,অনেকে রিক্সা চালান,অটো চালান,মাটি কাটেন,বাসের হেল্পারী করেন,ট্রাক চালান,ইত্যাদি ৷ করোনাকে কেন্দ্র করে এখন রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল অনেকটাই কমে গেছে,যার দরুন এই সকল ভাইদের উপার্জনের সুযোগ সুবিধাও অনেক কমে গেছে ৷ পাশাপাশি আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক দ্রব্যের দামও বেড়ে গেছে ৷
এই অবস্থায় এই সমস্ত ভাইদের জন্য আমাদের কিছু করা উচিৎ ৷ কারণ তাদেরও পরিবার আছে ৷ অনেকেই আছেন তারা হয়তো কারো কাছে হাত পাতবেনা কিন্তু তাদের পরিবারের সবাই কমবেশি কষ্ট করে চলতে হবে। আমরা সবাই মিলে বিশেষ করে যুবসমাজ যদি সিদ্ধান্ত নেই,এই অবস্থায় আমরা এই সমস্ত পরিবারের সাথে কিছুটা সুখ দুখ ভাগ করবো,তাহলে মনে হয় বিষয়টা ভালো হয় ৷ এবং এমনটা হওয়া উচিৎ,আল্লাহ অনেক খুশি হবেন ৷
তিনি সর্বশেষে বলেন > আমরা সবাই মিলে যদি ৫০০/১০০০/১৫০০/২০০০ বা যে যা পারি,এরকম টাকা নিয়ে নিজেরা নিজেরাই আমাদের ভাইদের বাড়িতে নিয়ে দিয়ে আসতে পারি, এক বস্তা চাউল হতে পারে,কয়েক কেজি আলু হতে পারে,কয়েক কেজি ডাল হতে পারে,পেয়াজ হতে পারে,তৈল হতে পারে বা যা ভালো মনে করেন,আমার মনে হয় এরকমটা আমরা সবাই সবার জায়গায় থেকে সবার সমাজে,গ্রামে,মহল্লায় কাজটা করতে পারি ইনশাআল্লাহ ৷
সম্পাদনায় সাংবাদিক এমরান আহমেদ