আমির হোসেন, তাহিরপুর প্রতিনিধি:: করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অনেক স্থানের মতো সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বমূখী হবার কারণে ২-৩ দিনেই হাঁপিয়ে উঠেছেন নিম্নআয়ের থেকে শুরু করে সব স্তরের মানুষ। উপজেলার বাজারগুলোতে চাল, পেঁয়াজ, চিনি ও তেলের দাম বেড়েছে আনুপাতিক হারে। আর এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাহিরপুর উপজেলার অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র বাদাঘাট বাজার, বালিয়াঘাট বাজার, তাহিরপুর সদর বাজার, শ্রীপুর বাজার, কাউকান্দি বাজার, বড়ছড়া জয়বাংলা বাজার, চারাগাঁও বাজার, কলাগাঁও বাজার, বাগলী বাজার, আনোয়ারপুর বাজারসহ উপজেলার অন্যান্য বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দোকানিরা একদিন আগেও এক বস্তা (৫০ কেজি) চাল ১ হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি করেছেন। কিন্তু আজ একই চাল ২ হাজার ৩শ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১শ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে, চিনি ৬০ থেকে ৮৫ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১শ থেকে ১২০ টাকা। অন্যান্য পণ্যও ব্যবসায়ীরা যে যার মতো দামে বিক্রি করছেন। অপরদিকে সাধারণ ক্রেতারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার আশঙ্কায় প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী। তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী গ্রাম কলাগাঁওয়ের মন্নাফ মোড়ল জানান, করোনাভাইরাসের কারণে চাল সীমিত দেখিয়ে কলাগাঁও বাজার ও কলাগাঁও মোড়ে যে চাল একদিন আগেও ১ হাজার ৮শ টাকা ছিল, সেই চালই ব্যবসায়ীরা এখন প্রতি বস্তা ২ হাজার ৩শ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে তাহিরপুর সীমান্তবর্তী এলাকার বাজারগুলো মনিটরিংয়ের অনুরোধ জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাদাঘাট সরকারি কলেজের এক শিক্ষক জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে বাণিজ্যকেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে গিয়ে পেঁয়াজ কিনতে চাইলে দোকানিরা প্রথমে পেঁয়াজ নেই বলে জানান। পরে দেখলাম কেউ কেউ লুকিয়ে ৫০ টাকার পেয়াজ ১শ টাকা করে বিক্রি করছেন। আজ শনিবার (২১ মার্চ) সকালে বাজারে পুলিশ আসার সংবাদ পেয়েই ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি করতে শুনেছেন তিনি। করোনাভাইরাসের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুদসহ দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি জানান, কোনো অজুহাতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে যেসব ব্যবসায়ী এসব অসাধু কাজে লিপ্ত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলার প্রতিটি বাজার বর্তমানে পুলিশ মনিটরিং করছে।