অনলাইন ডেস্ক :: দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরশত্রু প্রতিবেশির মধ্যে ছোট আকারের পারমাণবিক যুদ্ধ হলেও তা বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিপন্ন করবে। নাসার গড্ডার ইন্সটিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের গবেষক জোন্স জাগারমেয়ারের এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সাইন্সের সভার কার্যবিবরণীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, এমনকি দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সীমিত পারমাণবিক যুদ্ধ বাধলেও তা গোটা বিশ্বের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে।
পারমাণবিক সংঘাতের পরিণতি ব্যাখ্যা করে গবেষণায় বলা হয়, হিরোশিমা-বোমার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তির বোমা বিস্ফোরিত হলে তা জলবায়ুর আকস্মিক পরিবর্তন ঘটাবে। আধুনিক থার্মোনিউক্লিয়ার বোমাগুলো অনেক বেশি শক্তিশালী। এতে ফসলহানী হবে ব্যাপক। ফলে আঞ্চলিক সংঘাত আন্ত:নির্ভরশীল বিশ্ব অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করবে।
জাগারমেয়ারকে উদ্ধৃত করে ইউরেকাএলার্ট ওয়েবসাইট লিখে, একই পরিমাণ নৃতাত্ত্বিক উষ্ণতার চেয়ে আকষ্মিক শীতলতা বৈশ্বিক শস্য উৎপাদনের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশির মধ্যে পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে গেছে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ ভারতকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন যে, বেছে বেছে ভারতের বিভিন্ন স্থাপনায় ছোট আকারের পরমাণু বোমা ফেলা হবে। পাকিস্তানের কাছে ১২৭টি ২৫০ গ্রাম ওজনের পারমাণবিক বোমা রয়েছে বলে দাবি করেন রশিদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও সতর্ক করে বলেছেন যে দুই পারমাণবিক রাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিশ্বকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে।
অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন যে ভারত তার ‘প্রথম ব্যবহার নয়’ নীতি ভবিষ্যতে পরিবর্তন করতে পারে। তিনি বলেন এখন পর্যন্ত আমাদের পারমণবিক নীতি হলো ‘প্রথম ব্যবহার নয়।’ তবে ভবিষ্যতে এটি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।
২০১৯ সালের আগস্টে নয়া দিল্লি অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে দুই পারমাণবিক প্রতিবেশির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।