আমির হোসেন, সুনামগঞ্জ :: তাহিরপুর
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় জায়গায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জ্যাঠাত ভোজাঙ্গের আঘাতে খুন হওয়া চাচাত ছোট ভাই শহিদ নুরের ঘাতক খুনি গোলাম কাদিরকে আটক করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমানের নেতেৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টায় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বারেকটিলার বড়গোফ এলাকা থেকে ঘাতক গোলাম কাদির কে আটক করে পুলিশ। ঘাতক কাদির উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের টেকেরগাও গ্রামের মৃত নবীকুলের ছেলে। প্রসঙ্গতঃ নিহত শহিদ নুরের পিতা নাসির উদ্দিনের সাথে তার আপন চাচাত বড় ভাই মৃত নবিকুলের ছেলে গোলাম কাদির(২৬) এর সাথে বাড়ির জায়গা জমিন নিয়ে র্দীঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল ৩ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় নবিকুলের ছেলে গোলাম কাদির তার চাচা নাসির উদ্দিনকে ফোন করে গোলাম কাদিরের বাড়িতে তাড়াতাড়ি আসতে বলে। পরে চাচা নাসির উদ্দিন ভাতিজার ফোন পেয়ে গোলাম কাদিরের বাড়িতে যাওয়া মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে গোলাম কাদির, তার মামা সাকুর মিয়া (৩৫), তার বোন রাশেনা বেগম, পপিয়া বেগম ও তার মাসহ ৬/৭ জন মিলে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ভাতিজা গোলাম কাদির তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে নাসির উদ্দিনের পেটে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। এ খবর পেয়ে নাসির উদ্দিনের ছেলে শহিদ নুর ঘুম থেকে উঠে ঘটনার স্থলে গেলে তাকেও ভারতীয় ভোজাং দিয়ে পেটে আঘাত করে গুরুতর আহত করে গোলাম কাদির।
পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও তার পরিবারের লোকজনের সহযোগীতায় নাসির উদ্দিন ও তার ছেলে শহিদ নুরকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে শহিদ নুর মারা যায়। এবং গুরুতর আহত নাসির উদ্দিকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট উসমাণী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
তাহিরপুর থানার ওসি আতিকুর রহমান ঘাতকগোলাম কাদিরের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকেই আঘাত গোলাম কবির আত্ন্য গোপনে রয়ে ছলি। আমরা মঙ্গলবার সারে দিন অভিযান চালিয়ে রাতে ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত সংলগ্ন বড়গোফ টিলা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।