নির্মল বড়ূয়া মিলন, রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি :: অবৈধ কাঠ পাচার বন্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের সদর রেঞ্জ।
জানা যায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে মাত্র ৬ মাসে ৩১ টি মামলা প্রায় ১০ হাজার ঘনফুট সেগুন, গামারী ও করই প্রজাতির কাঠ ও ১৫ টি ইঞ্জিন চালিত বোট ও মিনিট্রাক আটক সহ ১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে অবৈধ কাঠ পাচার রোধে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৩ হাজার ঘনফুট সেগুন, গামারী,ও করই প্রজাতির কাঠ জব্দ ২০টি ইঞ্জিন চালিত বোট ও মিনিট্রাক আটক করে ৫৭টি মামলা দায়ের হয় এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।
চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ২৬০টি বন মামলার মধ্যে ৮২ মামলা নিষ্পত্তি হয়। ৬৩টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়, তারমধ্যে নজির বিহীন ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি নাসির উদ্দিনকে ৩বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড ও ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ড একই মামলায়
রাহুল তঞ্চঙ্গ্যা প্রকাশ বাবুল মেম্বারকে দেড় বছরের কারাদন্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২মাসের কারাদন্ড পুরো রাঙামাটি জেলায় তোলপার সৃষ্টি করে। বন বিভাগের এতবড় সফলতার বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এসব সফলতার পিছনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ছানাউল্ল্যা পাটোয়ারী, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান শাহ এর দিক নির্দেশনা ও আমাদের দক্ষিণ বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটাঅর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের সদর রেঞ্জের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে ও অবৈধ কাঠ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।উল্লেখ্য, রাঙামাটি সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সদর রেঞ্জে যোগদানের পর থেকে সফলভাবে আদালতে বন বিভাগের পক্ষে বন মামলা পরিচালনা এবং অবৈধ কাঠ পাচার রোধে বড় বড় অভিযান পরিচালনা করে সকলের নজর কাড়েন।
তার এসব সফল অভিযানের ফলে ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে পার্বত্য অঞ্চলে দক্ষিণ বন বিভাগে বনজ
সম্পদ রক্ষা ও সরকারের রাজস্ব আদায়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ অভিযান অব্যাহত থাকলে পার্বত্য অঞ্চল থেকে কাঠ পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে এবং এ অঞ্চলের বনজ সম্পদ রক্ষা পাবে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে সরকারের রাজস্ব