হলিবিডি প্রতিনিধিঃ
খুলনা পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউপি মেম্বর বিশ্বজিতের প্রত্যক্ষ মদদে জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে এমপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে এসব কাজ করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। জানাগেছে, ওই এলাকার ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ইজারাপ্রাপ্ত আঁধার মানিক মৌজায় পোল্ডার নং ১৮/১৯ ও এলএ, কেস নং ০৮/৬৫-৬৬ এর ৬১২ দাগে ডিসিআর প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন এফসিডিআইয়ের ২৫ শতক জমি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী ইউপি সদস্য বিশ্বজিতের মদদে সোমবার সকালে এলাকার শামছুর গাজী ও ভাইপো মনিরুল লোকজন দিয়ে জমিটি জোর পুর্বক জবর দখল করে নেয়। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করায় রবিবার কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িতে বসাবসি হয় এবং মেম্বর বিশ্বজিতের উপর দ্বায়িত্ব দেন। কিন্তু প্রশাসনের কোন নির্দেশনা মানেননি তারা।
জানাগেছে, গত রবিবার মেম্বর বিশ্বজিৎ সহ স্থানীয়রা পুলিশ ফাঁড়িতে বসে শান্তিপূর্ণ নিঃষ্পত্তির আশ্বাস দিয়ে ফাঁড়ি ত্যাগ করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইল ও সীমানা নির্ধারণ পূর্বক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নির্দেশ প্রদান করলেও মেম্বর বিশ্বজিৎ এর কারিশমায় মনিরুল গং পরদিন সোমবার সকালে ৩০/৩৫ জন লেবার নিয়ে জবরদখল করে বেড়িবাঁধ উঠিয়ে দেন। খবর পেয়ে ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশের নির্দেশে এ এস আই প্রভাসসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে টের পেয়ে সরে পড়ে তারা। এ সময় ইউপি সদস্য বিশ্বজিৎ এর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ওই সময় হাফিজুল নামের ব্যক্তি বিষয়টি দ্বায়িত্ব নিলেও তা না করে অসহায় মিজানুরের জমিতে বেঁড়িবাধ দিয়ে দখল করে নেয় প্রতিপক্ষ শামছুর গাজী ও মনিরুল গং।
এ বিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ বলেন, ‘ঘটনা সঠিক এবং ওই এলাকার মেম্বর বিশ্বজিৎ এগুলো করছে। ফাঁড়ি থেকে ঘটনাস্থল দুরবর্তী হওয়ায় তাৎক্ষণিক যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
পাইকগাছা থানা ওসি মোঃ এমদাদুল হক শেখ বলেন, অনেকে বিষয়টি নিয়ে আমাকে ফোন করেছিল। আমি বিষয়টি দেখবো বলে জানান তিনি। মেম্বর বিশ্বজিৎ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি তিনি।