হলিবিডি প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কপোতাক্ষ নদীর চরভরাট জমি দখল করে ইটভাটা স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে লালুয়া বাগালী গ্রামে অহিদুজ্জামান সরদার হাইকোর্টে একটি রিট করেছে। এ ছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ খুলনা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বাগালী গ্রামের কপোতাক্ষ নদীর চর ভরাট জমি দখল করে একই গ্রামের কতিপয় কিছু ব্যাক্তি ইটভাটা স্থাপনের জন্য চিমনি নির্মাণসহ অন্যান্য মালামাল আমদানি করেছে। অভিযোগকারিরা লালুয়া বাগালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাশে আশ্রয়ন কেন্দ্র ও ঈদগাহ মাঠ সহ ঘনবসতি এলাকায় ইটভাটা স্থাপন না করার জন্য তাদের নিকট অনুরোধ জানায়। অথচ প্রভাবশালী ঐ চক্রটি এলাকাবাসীর দাবী উপেক্ষা করে ইটভাটার চিমনী নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে।
সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি জায়গা ও কতিপয় ভুমিহীনদের বন্দোবস্ত জায়গায় ইটভাটা নির্মাণে তড়িঘড়ি করে কাজ করছে। এলাকাবাসির পক্ষে হাইকোর্টে রিটকারী অহিদুজ্জামান বলেন, শত বছরের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৩ শ মিটার দুরে ইটভাটা স্থাপন করায় তিনি এ রিটটি করেছে। ইটের ভাটার ধোয়ায় স্কুলগামী দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ শতাধীক কোমলমতি শিশু এবং পাশে আশ্রয়ন কেন্দ্রে হত দরিদ্র ৩ শ পরিবারের বসবাসরত গ্রামবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হবে ভেবে জনস্বার্থে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানায়। বাগালী গ্রামের শহিদুল সরদার, আলমগীর, সাইফুল, লিটন, আরিফ সহ একাধীক ব্যক্তি জানায়, ইট ভাটা করা হলে এখানের পরিবেশ বিনিষ্ট হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল সরোজমিনে পরিদর্শন করেছে।
ইটভাটা সংলগ্ন আশ্রয়ন প্রকল্প বসবাসরত ডালিম সানার স্ত্রী সাবিনা খাতুন বলেন, এখানে ইট ভাটা করা হলে এই চরে আমরা ৩শ পরিবার অসুবিধায় পড়বে। কারন ইট ভাটার কালোধোয়া গাছ গাছালি নষ্ট হবে এবং এখানকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন, এখানে ইট ভাটা স্থাপন হলে, স্কুলে আসা কোমলমতি শিশুরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে।